অপহরণের চারদিন পারও নারায়ণগঞ্জ পুলিশ অপহরণ কারীদের হাত থেকে অপহৃত এস এস সি পরীক্ষার্থী আরিফা আক্তার স্নেহাকে উদ্ধারও অপহরণ কারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।অথচ এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুসাইদের সাথে মোবাইলে অপহরণকারী ও তার মা-বাবার সাথে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন।এ বিষয়ে এলাকাবাসীরা বলছেন যদি অপহরণকারীও ও তার মা-বাবার সাথে মোবাইলে কথাহয়ে থাকে তা হলে বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামী সনাক্তও অপহৃতকে উদ্ধার করা সম্ভব।অপহৃত স্নেহাকে ২৫ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ৯টায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে নতুন জিমখানা আলাউদ্দীন খান স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তা থেকে অপহরণ করা হয়।এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে।স্নেহার বাড়ী নোয়খালী জেলার লক্ষীপূর থানার র্ইুতা গ্রামে।বর্তমানে সে নারায়ণগঞ্জের নতুন জীমখানা রেল কলোনীতে নানা শাহ আলমের বাসাই থেকে লেখাপড়া করছে।স্নেহা আগামী বছর নারায়ণগঞ্জ মর্গান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পরীক্ষা দিবে।জানা গেছে অপহরণকারী রেয়াজ একই এলাকার ছেলে।তার কাছে এলাকার ছেলে মেয়েরা প্রাইভেট পড়ে স্নেহাও তার কাছে প্রাইভেট পড়ত।মাস খানেক পুর্বে অপহরণকারী রেয়াজের মা ও দাদি স্নেহার নাানিকে বাসাই ডেকে বলে তার ছেলে স্নেহাকে বিয়ে করতে চাই অন্যথাই রেয়াজ বিষ পানে আত্ন হত্যা করবে।এতে স্নেহার পরিবারের সদস্যও স্নেহা নিজে তাদের প্রস্তাব মানতে রাজি হয়নি।এর পর থেকে ট্রেনে ও বিষ পানের নাটক করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে এই অবস্থায় এলাকাবাসী ক্ষীপ্ত হয়ে উঠলে ভয়ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করে দেয়।এলাকার লোকজন জানাই এই ঘটনার পূর্বে বিভিন্ন মহল্লায় সে ছাত্রী পড়াতে গিয়ে নিজ ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচারনের চেষ্টা করলে ক্ষীপ্ত এলাকাবাসীদের হাতে নাজেহাল হয়েছে।তারা আরো জানাই এই অপহরণকারী যুবক নিজ মহল্লায় একটি গোডাউনে চাকরী করত।এই অবস্থায় প্রতিষ্টানের অভ্যন্তরে এলাকার নেশাখোর মাস্তানদের নিয়ে আড্ডা দেয়ার অপরাধে প্রতিষ্টানের মালিক তাকে তার প্রতিষ্টান থেকে বের করে দেন।এ দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান,আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি এই মামলার আসামীকে গ্রেফতারও অপহৃত স্নেহাকে উদ্ধারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন