বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিতে কাজ করছি

সাংবাদিকদের নৌ প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, সেবক হিসাবে কাজ করতে চাই। নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। নদী তীরের অবৈধ দখল অপসারণ ও দূষনরোধে কাজ শুরু করেছি। কাজ শুরু করা সহজ, শেষ করা কঠিন বলে মনে করনে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খলিদ মাহমুদ চৌধুরী।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নদীর নাব্যতা এবং গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতর ও সংস্থার প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কঠিন কাজটি শেষ করব। নদীগুলোকে রক্ষা করতে না পারলে অনেক কিছুই ব্যর্থ হয়ে যাবে। সুন্দর ও সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

সভায় জানানো হয়, ঢাকা শহরের চারদিকের নদীগুলো দখল ও দূষণমুক্তকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ) কর্তৃক অবৈধ স্থাপনা অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিআইডবিøউটিএ ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর এলাকায় ১৮হাজার ২৫টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ, ৭৩৮ একর তীরভূমি উদ্ধার, ৬৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১৪ কোটি টাকার পণ্য নিলাম করা হয়। চলতি মাসের ১৮-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা নদী বন্দর এলাকায় পুনঃদখলকৃত ৭২০টি স্থাপনা অপসারণ, প্রায় ১৬ একর জমি উদ্ধার, নয় লাখ ২২ হাজার টাকা জরিমানা এবং দু’কোটি ৩৮ লাখ টাকার পণ্য নিলাম করেছে।

সভায় জানানো হয় যে, ঢাকা নদী বন্দর এলাকায় ৩ হাজার ৮০৩টি সীমানা পিলারের মধ্যে ২০৭টি পিলার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। টঙ্গি নদী বন্দর এলাকায় ২ হাজার ৬টি সীমানা পিলারের নির্মাণ কাজ আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে। নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের অধীনে ২হাজার ৫০০টি সীমানা পিলার এবং ঢাকা ও টঙ্গি নদী বন্দরের অধীনে ছয়টি ভারী জেটি নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। ঢাকা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালগুলো থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে পরিদর্শন কমিটি গঠন করা হবে।

নদী দখল ও দূষণরোধে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটির কার্যক্রম জোরদারে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহন করবে। শিল্প বর্জ্য দ্বারা যাতে নদীর পানি দূষিত না হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঢাকা ওয়াসার স্যুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমে বুড়িগঙ্গা নদীতে পতিত তরল বর্জ্য এর ৫৩টি উৎসমুখ ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৬৭টিসহ মোট ১২০টি এবং নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর এলাকাধিন ১০৫টি উৎসমুখ চিহ্নিত করে হাইকোর্টের রায়ের আলোকে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন