শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

লড়াইটা শীর্ষে উঠার, মান বাঁচানোরও

মো. জাহিদুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

একদিন বিরতির পর ফের মাঠে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। লিগপর্বে প্রতি দলের ১২টি ম্যাচের মধ্যে অর্ধেক পাড়ি দিয়েছে সবদলই। ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এরপরই ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে অবস্থান রাজশাহী রয়্যালসের। আজ ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে জিতলেই শীর্ষে পৌঁছে যাবে দলটি। অন্যদিকে মাত্র একটি জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দুই দল সিলেট থান্ডার ও রংপুর রাইডার্স। দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে দল দুটো। তাই রাজশাহীর যেমন লক্ষ্য প্রথম স্থান অধিকার করা, তেমনি সিলেট-রংপুরের লক্ষ্য জয় নিশ্চিত করে মান বাঁচানো।

নিজেদের শেষ ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ১৫ রানে ম্যাচে জিতেছিল রাজশাহী। সৌম্য সরকারের ৪৮ বলে ৮৮ রানের ইনিংসও রক্ষা করতে পারেনি আন্দ্রে রাসেলদের বিপক্ষে হার। দুর্দান্ত সেই জয়ের সুখস্মৃতি নিয়েই মাঠে মাঠে নামবে রাজশাহী শিবির। অন্যদিকে তাদের প্রতিপক্ষ ঢাকা প্লাটুন নিজেদের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে লড়াইটাও করতে পারেনি। হেরেছে ৬ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। ব্যাটে-বলে নিজের সর্বোচ্চ উজাড় করে দিয়েও হার নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দল ও ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা। তাই এই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে আক্ষেপ দূর করতে মরিয়া ঢাকা। এখন পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলে ঢাকার অবস্থান চারে। এই ম্যাচে জিতলেই ১০ পয়েন্ট নিয়ে রাজশাহী-খুলনা টাইগার্সের পাশে বসবে দলটি। অন্যদিকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা রাজশাহী এই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে উঠতে চায় শীর্ষে। নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় এই ম্যাচে জিতলেই সমান ১২ পয়েন্ট নিয়েও চট্টগ্রামের ওপরে উঠবে দলটি।

দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট-রংপুরের লড়াই হবে অনেকটা মান বাঁচানোর। দুই দলই এখন পর্যন্ত তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ফল করতে পারেনি। সিলেট ৭ ম্যাচে পেয়েছে একটি জয়। অন্যদিকে রংপুর ৬ ম্যাচে পেয়েছে একটি জয়। অনেক ম্যাচে কাছে গিয়েও ভাগ্যের সহায়তা পায়নি তারা। তবে এবার মুখোমুখি লড়াইয়ে ভাগ্য পরিবর্তণে মরিয়া দুই দল। মুশফিকুর রহিমের দলকে স্তব্ধ করে দিয়ে এবারের আসরে জয পেয়েছিল সিলেট। আসরের প্রথম সেঞ্চুরিও এসেছিল সেই ম্যাচেই। আন্দ্রে ফ্লেচারের কল্যাণে। ২৩২ রানের পাহাড়ের বিপরীতে ১৫২ রানেই গুটিয়ে যায় খুলনা। সিলেট পায় ৮০ রানের বড় জয়। কিন্তু তারপরই আবারও নিষ্প্রভ দলটি। অন্যদিকে রংপুর তাদের একমাত্র জয় পেয়েছে এবারের আসরের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল চট্টগ্রামের বিপক্ষে। লইস গ্রেগরির অপরাজিত ৭৬ রানে ভর করে সে ম্যাচে তারা চট্টগ্রামকে হারিয়েঢছিল ৬ উইকেটে। অথচ এরপর আর জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি তাদের। তাই আজকের ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। নিজেদের বাকি ম্যাচগুলোতে জয় পেলে এখনও প্লে-অফের আশা আছে তাদের। তাই কোন দলই ছেড়ে দেয়নি শেষ চারের স্বপ্ন।

প্রথম দুই ম্যাচে অপরাজিত থেকে খুলনা যখন নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল, তখন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম মজা করে বলেছিলেন, ‘আসরটা জমিয়ে দিলাম।’ ঠিক, তাই। পয়েন্ট টেবিলে নিচে থাকা দলগুলো যদি টানা জয় তুলে নিতে পারে তাহলেই বিপিএল হয়ে উঠবে জমজমাট। নিশ্চিত করে কেউই দাবি করতে পারবে না প্লে-অফের। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি আসরের স্বপ্ন কে না দেখে?


পয়েন্ট টেবিল
দল ম্যাচ জয় হার পয়েন্ট নে.রা.রে
চট্টগ্রাম ৮ ৬ ২ ১২ ০.১১১
রাজশাহী ৬ ৫ ১ ১০ ১.২৭৮
খুলনা ৭ ৫ ২ ১০ ০.৭৪২
ঢাকা ৭ ৪ ৩ ৮ ০.১১৫
কুমিল্লা ৭ ২ ৫ ৪ ০.২৫৬
সিলেট ৭ ১ ৬ ২ -০.৬১৮
রংপুর ৬ ১ ৫ ২ -১.৯৩৫

 

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন