পীরগঞ্জে বোরো ধানের বীজতলা ও আলুক্ষেত ঝুঁকিতে পড়েছে। নানা প্রতিকুলতায় চাষী চেষ্টা করছে বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে তা রক্ষার জন্য। কৃষকের তথ্যমতে আমন ধান ও আলু চাষাবাদে লোকসান থেকেও চলতি মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে এসব ফসল চাষাবাদে মাঠে নেমেছে।
কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশার কারনে অন্যান্য এলাকার ন্যায় পীরগঞ্জ উপজেলায় বোরো ধানের বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হচ্ছে। ক্ষতি এড়াতে উপজেলা কৃষি দপ্তরের পরামর্শে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখছেন কৃষক। আর আলুক্ষেতের মড়ক প্রতিরোধে কিটনাশক প্রয়োগ করছেন। কৃষি দপ্তর জানায় কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হলে বীজতলা হলুদ ও লালচে রং ধারণ করে চারার গোড়ায় পচন ধরে নষ্ট হয়ে যায়। লেট ব্রাইট রোগে আক্রান্ত হলে আলু গাছ সহজেই পঁচে যায়। আক্রান্ত আলুর গায়ে বাদামী থেকে লালচে দাগ পড়ে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা থেকে বাঁচানোর জন্য কৃষক পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রেখেছেন। আলুক্ষেতে কিটনাশক প্রয়োগ করছেন।
উপজেলা কৃষি দপ্তরের কৃষিবিদ ও কর্মকর্তা জানায় প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় ক্ষতি হচ্ছে বীজতলা ও আলুক্ষেত। এক্ষেত্রে কৃষককে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তথ্যমতে ১ একরে ১৯ কেজি ও প্রতি হেক্টরে ২৫ কেজি বোরো ধান চারার জন্য বীজ রোপন করা যায়। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর আলুবীজ প্রতি কাঠায় বীজ মান অনুযায়ী ১৫-২০ কেজি রোপন করা যায়। এবার প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এদিকে কৃষক আমন ধানে লোকসানে পড়েও ঝুঁকি নিয়ে ইরি-বোরো ধান চাষাবাদে মাঠে নেমে পড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন