যশোরের কেশবপুর উপজেলায় বারুইহাটি গ্রামে ইটের ভাটা পরিবেশ নষ্ট করছে। ৭০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ, পটল, ফুলকপি, ওলকপি, বাধাকপি ও শিমসহ শীতকালীন সবজি নষ্ট হচ্ছে। কয়েকশ’ পরিবার বিপাকে পড়েছে। ভাটা মালিককে বিষয়টি জানালে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নাশকতা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে।গতকাল রোববার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে আমেনা বেগম এ অভিযোগ করেন। ভাটাটি বন্ধ করতে তিনি জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি জানান, গ্রামবাসীর নিষেধ করার পরও পাশের সাতবাড়িয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ইটভাটা স্থাপন করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভাটার জন্য এলাকাবাসী নানামুখী সমস্যার শিকার হচ্ছেন। ভাটার পাশেই রয়েছে বারুইহাটি মহিলা দাখিল মাদরাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক ও কিরাতী মাদরাসা। এক কিলোমিটার দূরে রয়েছে ভাল্লুকঘর বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসা। ভাটার গাড়িগুলো জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সব সময় আতঙ্কে থাকে। নারকেল গাছে ফল ধরছে না। ফুল নষ্ট হচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস শীতকালীন সবজি। ভাটার জন্য সবজি চাষ এক সময় ধ্বংসের দিকে যাবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারুইহাটি গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সাত্তার, মজিবার রহমান, নূর আলী, রনজু বেগম, হাজিরা বেগম, সুফিয়া বেগম, ঝর্ণা বেগম, মাজেদা খাতুন ও সবিরন নেছা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন