ক্ষমতাসীন বিজেপির পক্ষ নিয়ে কিছুদিন আগেই মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন। প্রমাণ করেছিলেন তিনি বিজেপির একনিষ্ঠ সমর্থক। তাই বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন ছিল ভারতের প্রথম ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ (সিডিএ) হতে পারেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। অবেশেষে সেই জল্পনা সত্যি হল। বিপিন রাওয়াতের অবসরের এক দিন আগে প্রথম ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ (সিডিএ) হিসেবে তার নাম ঘোষণা করল কেন্দ্র। ফলে আরও তিন বছর কাজ করার পর অবসর নেবেন তিনি।
সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংযোগ রক্ষাকারী ‘সিঙ্গল পয়েন্ট অ্যাডভাইজর’ হলেন বিপিন রাওয়াত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সেনা বিষয়ক দফতরের প্রধান হচ্ছেন তিনি। সেনার তিন বাহিনীর কাজে সমন্বয়ের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর এই পদের ঘোষণা করে কেন্দ্র। তখন থেকেই জল্পনায় ছিল সেনাপ্রধানের নাম। সরকারকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্ত পরামর্শও দেবেন ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’। সেনার তিন বাহিনীর সমন্বয় বাড়ানো এবং তিন বাহিনীর পরামর্শদাতা নিয়োগের দাবি উঠছিল সেনা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা মহল থেকে। অবশেষে সেই দাবিই পূরণ হল।
১৯৯৯-এর কার্গিল যুদ্ধে ভারতীয় স্থল বাহিনী, বিমান ও নৌ সেনার পারদর্শিতা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই কমিটিই প্রথম তিন বাহিনীর উপদেষ্টার এই সুপারিশ করেছিল। চলতি বছর স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম এই পদের ঘোষণা করেন। তার পর থেকেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে তৎপরতা শুরু হয়। অবশেষে ২৪ ডিসেম্বর এই পদাধিকারীর দায়িত্ব-কর্তব্য নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। তাতে বলা হয়েছিল, সেনার যে কোনও বাহিনীর ‘ফোর স্টার’ ক্যাটেগরির অফিসারকে নিয়োগ করা হবে।
সেনার তিন বাহিনীর শীর্ষ পদাধিকারীদের অবসরের বয়স ৬২ বছর। সে ক্ষেত্রে নতুন এই পদে অবসরের বয়স বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৫ বছর। অর্থাৎ সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর এই পদে দায়িত্ব নিলে আরও তিন বছর চাকরির মেয়াদ বেড়ে যাবে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, এই পদে সর্বোচ্চ তিন বছর চাকরি করতে পারবেন কোনও সেনা কর্তা। অর্থাৎ তিন বছর কাজ করা বা ৬৫ বছর বয়স, যেটা আগে হবে, সেটাই হবে এই পদে চাকরি থেকে অবসরের সময়।
শিমলার সেন্ট এডওয়ার্ড স্কুলে পড়াশোনা করেছেন বিপিন রাওয়াত। এর পর খড়কভাসলার ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি এবং দেহরাদূনে ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমির কোর্স শেষ করে তিনি গোর্খা রেজিমেন্টে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিন বছর কাজ করার পর ৩১ ডিসেম্বর তার অবসর নেওয়ার কথা ছিল। সূত্র: ইকোনমিক টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন