শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

জাজ তৈরীর কাজে বক্সিং ফেডারেশন!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:৪৩ পিএম

আন্তর্জাতিক যে কোন আসরে জাজদের পক্ষপাতিত্বের শিকার হন বাংলাদেশের বক্সাররা। যে কারণে স্বর্ণ জয়ের কাছ থেকে ফিরে আসতে হয় তাদের। যেমন হয়েছিল সদ্য সমাপ্ত নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে। কাঠমান্ডুতে রিংয়ে ভালো খেলেও স্বর্ণপদক থেকে বঞ্চিত হন বাংলাদেশের বক্সার রবিন মিয়া। ভারতের বক্সার সচিনের বিপক্ষে পয়েন্টে এগিয়ে থাকলেও অন্যদেশের জাজদের পক্ষপাতিত্বের শিকার হন তিনি। জাজ প্যানেলে বাংলাদেশের কেউ ছিলেন না বলেই রবিনকে রূপা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। যদি গেমসের জাজ প্যানেলে বাংলাদেশের কোন প্রতিনিধি থাকতেন তাহলে হয়তো অন্য জাজরা রবিনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করার সুযোগ পেতেন না। এ উপলব্ধি শুধু রবিনেরই নন, স্বয়ং বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিনেরও। তবে এবার সেই হতাশা কাটিয়ে উঠবে বলে জানান তুহিন। সহসাই বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশন আন্তর্জাতিক মানের জাজ তৈরীর কাজে নেমে পড়ছে।

তুহিন বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক মানের জাজ তৈরী করবো। যাতে ভবিষ্যতে কোন গেমসে আমাদের বক্সাররা পক্ষপাতিত্বের শিকার না হন।’

শুধু নেপাল এসএ গেমসই নয়, ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমসেও ঘরের মাঠে স্বাগতিকদের কোন জাজ ছিলেন না।

বিস্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, ফেডারেশন অব এশিয়া বক্সিংয়ের তত্বাবধানে (ফাব) কোর্স করা তিনজন জাজ ছিলেন বাংলাদেশে। এরা হলেন- একেএম আসাদুল্লাহ, লে. কর্নেল (অব.) এমএ লতিফ খান ও এমএ কুদ্দুস খান। তিনজনই বক্সিং ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। প্রথম দু’জন অবসরে গেছেন। তাই এখন আর জাজ থাকতে পারেন না তারা। তৃতীয়জন ফেডারেশনে আসেন না। তাই দেশে বক্সিং জাজের সংকট দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক কোন বক্সিং আসরেই জাজ বাংলাদেশের থাকেন না। ফলে অহরহ পক্ষপাতিত্বের শিকার হন বাংলাদেশের বক্সাররা। এই সংকট কাটাতেই এবার নতুন করে আন্তর্জাতিক মানের জাজ তৈরীর কাজে নেমেছে বক্সিং ফেডারেশন।

এ প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক তুহিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আয়োজন করছি। সেখান থেকেই শুরু হবে আমাদের আন্তর্জাতিক মানের জাজ তৈরীর কার্যক্রম। আগামী তিন বছরের মধ্যে আমরা দু’জন করে জাজ ও রেফারি তৈরী করবো। যাতে আগামী এসএ গেমসে কেবল জাজের জন্য আর পদক হাতছাড়া করতে না হয়।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন