শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ব্যাংক ঋণে সুদহার ৯ ও ৬ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে সরকার: অর্থমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:৫৩ পিএম

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশ এবং আমানতের সুদ ৬ শতাংশ বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রথম থেকেই ছিল। কিন্তু প্রথম দিকে এটি আমরা ফেইজ ওয়াইজ বাস্তবায়ন করবো বলে ধারণা ছিল। কিন্তু পরে দেখলাম যে, শুধু আমরা ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ঋণে সুদহার ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন করি তাহলে অনেক ইন্ডাস্ট্রি বাদ পড়বে, অনেক খাত বাদ পড়ে যাবে। এদের বলা হবে তোমাদেরটা ম্যানুফ্যাকচারিং না, কবে বসিয়েছ, লাইসেন্স চাই বিভিন্ন কথাবার্তা বলবে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। সব ক্ষেত্রেই কী ডিপোজিট ৬ শতাংশ হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ডিপোজিটের জন্য কোনো ব্যাংকই কাউকে ৬ শতাংশ বেশি সুদের অফার করতে পারবে না। সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়ায় ব্যাংকে টাকা রাখলে যিনি টাকা রাখেন তাকেই ব্যাংকে টাকা দিতে হয়। আমাদের মতো দু-একটি দেশে ব্যাংকে টাকা রাখলে হয়তো ডিপোজিটে দু-তিন পার্সেন্ট ইন্টারেস্ট বেশি সুদ দেয়া হয়। এটা আর সইতে পারছি না। সে কারণে কঠিন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা আমিও ফিল করি যে, ওভার নাইট অথবা তিন বা ছয় মাসের ভেতরে এ রকম একটা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। কিন্তু উপায় ছিল না। না হলে এ শিল্পায়ন হবে না। এ দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমানো যাবে না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যদি সরকারি-বেসরকারি উভয় ব্যাংকে ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সুদহার ৬ শতাংশ করে দেয়া হয় তাহলে সবাই সরকারি ব্যাংকে টাকা রাখবে। তাই সরকারি ব্যাংকে ডিপোজিটের সুদহার হবে সাড়ে ৫ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যাংকে ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সুদহার হবে ৬ শতাংশ। যদি দুই জায়গায় ৬ শতাংশ করি তাহলে বিভিন্ন কারণে সবাই চলে যাবে সরকারি ব্যাংকে। এ জন্য আমরা এ ক্ষেত্রে আধা পার্সেন্ট গ্যাপ রাখছি।’

এর আগেও এটি বাস্তবায়নের কথা ছিল কিন্তু ব্যাংকগুলো সেটি করেনি -এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকাররা যদি ৬ শতাংশ সুদে ডিপোজিট পায় তাহলে ৯ শতাংশে ঋণ দিতে পারবে না কেন? আগে করেনি, সেজন্য সরকার এবার অনেক বেশি কঠোর। আগে তাদের (ব্যাংকগুলোর) ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছিল, কেউ কেউ বাস্তবায়ন করেছে, কেউ কেউ করেনি। কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবে। সুতরাং এবার আমরা বলছি অপেক্ষা করবো সাত দিন তবুও বাস্তবায়ন করবো।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন