ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী আব্দুর রহমান বলেছেন, মেয়র নির্বাচিত হলে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করাই হবে আমার মূল লক্ষ্য। মশক নিধন, যানজট নিয়ন্ত্রণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, হকার পুনর্বাসন, পরিকল্পিত নগরায়ন করার মাধ্যমে নাগরিক সেবা জনগণের হাতের নাগালে নিয়ে আসবো। হয়রানি বন্ধে চালু করবো ওয়ান স্টপ সার্ভিস যাতে একই দফতরে সকল কাজের সমাধান পায় নগরবাসী। নগর উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের সাথে নিয়ে একটি ক্লিন, গ্রিন ও স্মার্ট ঢাকা গড়ে তুলতে চাই।
গতকাল ইনকিলাবের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতে এসব কথা বলেন আব্দুর রহমান। আব্দুর রহমান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক। পাশাপাশি শ্রমিক আন্দোলনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর কুরআন শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি। গতবার সিটি নির্বাচনেও তিনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
আব্দুর রহমান বলেন, ঢাকা দক্ষিণের জনদুর্ভোগ অনেক বেশি যা বলার মতো না, জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করার জন্য মেয়র হতে চাই। ক্লিন, গ্রিন ও স্মার্ট ঢাকা গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও দফতরের মধ্যে সমন্বয় করার মাধ্যমে উন্নয়ন হবে পরিকল্পিত এবং জন দুর্ভোগ হবে বিতাড়িত। শুধু দুর্নীতি বন্ধই নয়, দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতে কর্মসূচী গ্রহণ করবো মেয়র নির্বাচিত হতে পারলে।
তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে আরো রয়েছে, নারীদের মর্যাদা সমুন্নত করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা, বাড়ি ভাড়া সহনশীল অবস্থায় আনয়নের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স ৩০ শতাংশ কমানো। ভ্রাম্যমান মানুষের জন্য নতুন অনেক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে কমিউিনিটি সেন্টার, মাতৃসদন, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, খেলাধুলার জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ডে মাঠ তৈরী এবং স্কুলগুলোর খেলার মাঠ উন্নয়ন করার পরিকল্পনা তার।
পাশাপাশি ঢাকার বাসিন্দাদের খরচ কমানোর জন্য বিভিন্ন এলাকায় সরকারি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে চান তিনি। আব্দুর রহমান বলেন, বর্তমানে অভিভাবকদের মাসে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা সন্তানের শিক্ষার পেছনে ব্যয় হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি হলে সবার উপরই চাপ কমে যাবে।
এছাড়া পুরান ঢাকার ঐতিহ্য রক্ষা করে পরিকল্পিত উন্নয়ন ও বুড়িগঙ্গা নদীকে পরিচ্ছন্ন নদীতে পরিণত করার উদ্যোগ নেবেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন