নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স থেমেছিল ১৪০ রানে। শেষ বলে রানআউটের ফাঁদে পড়ে সিলেট থান্ডারও অলআউট ১৪০-এ! ম্যাচ টাই। খেলা গড়ালো সুপার ওভারে। এবারের বিপিএলে প্রথম সুপার ওভার রোমাঞ্চ জিতল কুমিল্লা। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ৭ রান তোলে সিলেট। জবাবে এক বল হাতে রেখে ম্যাচটি জিতে নেয় এক উইকেট হারানো কুমিল্লা।
বিপিএল সিলেট পর্বের শুরুর দিনে রোমাঞ্চের এখানেই শেষ নয়। লক্ষ্য মাত্র ১৪১ রানের। সেই রান তাড়ায় ৩৩ রানেই সিলেটের নেই ৫ উইকেট। সেখান থেকে দলকে টেনে নিচ্ছিলেন সোহাগ গাজী। ফিফটি তুলে আভাস দিচ্ছিলেন দারুন কিছুর। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের প্রয়োজন ৩৮ রান। হাতে ৫ উইকেট। আফগান স্পিন জাদুকর মুজিব উর রহমানের এক ওভারেই ম্যাচ ছিনিয়ে নিল কুমিল্লা। ১৭তম ওভারে মাত্র এক রান দিয়ে তিন তিনটি উইকেট, যার মধ্যে ইনিংসে একমাত্র ফিফটি পাওয়া সোহাগকে (৩১ বলে ৫২) ফিরিয়েই যেন জয়ের দেখা পেয়ে গিয়েছিল সৌম্য সরকারের দল।
তবে এর আগে সিলেটের একাদশে একমাত্র ‘লোকাল বয়’ ইবাদত হোসেনই দিয়েছিলেন রোমাঞ্চের প্রেক্ষাপট। তার সঙ্গে অন্য বোলারদের ভালো পারফরম্যান্সে ৯ উইকেট হারানো কুমিল্লাকে ১৪০ রানে বেঁধে রাখে সিলেট। এবারের আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় ইবাদত নিয়েছেন ৩ উইকেট। উপুল থারাঙ্গা (৪৫) ছাড়া আর কেউই দেখাতে পারেনি মুন্সিয়ানা। জবাবে প্রথম ওভার থেকেই উইকেট পতনে শুরু থেকেই সিলেটও ব্যাকফুটে। মাঝে সোহাগ ছাড়া বাকি স্বীকৃত ব্যটসম্যানরা যখন ব্যর্থ শেষ দিকে দলকে সুপার ওভার পর্যন্ত টেনে নেন নাভিন উল হক (৭ বলে ১৫) ও এবাদত (২ বলে ৩*)। তবে ঘরের মাঠেও ভাগ্য ফেরেনি সিলেটের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন