বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভোটের পরিবেশ প্রশ্নবিদ্ধ

আস্থাহীনতায় নির্বাচন কমিশন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:২৬ এএম

প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের আগেই ভোটের উৎসবে মেতে উঠেছে রাজধানীর মানুষ। ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন নিয়ে নৌকা-ধানের শীষের লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। গতকাল ঢাকা উত্তরের আওয়ামী লীগের মো. আতিকুল ইসলাম ও বিএনপি তাবিথ আউয়ালসহ ৬ জন মেয়র প্রার্থী এবং ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ ৭ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন

এই দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের মধ্যে বাকযুদ্ধ চলছে। ইসি থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠিও দেয়া হয়েছে ভোটের এই সময়ে সরকারি কর্মকর্তাদের যেন বদলি করা না হয়। কিন্তু নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কে এম নুরুল হুদা কমিশন দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। বর্তমান ইসির উপর কারোই আস্থা নেই। ভোটের পরিবেশ এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ধানের শীষের প্রার্থীদের বাধা দেয়ার শঙ্কা রয়েছে। কিন্তু সেটা বন্ধের কোনো ক্ষমতা বর্তমান ইসির নেই। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম মজুমদার, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. নূরুল আমিন ব্যাপারী, সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বর্তমান ইসির অধীনে গ্রহণযোগ্য ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করে নিরপেক্ষ নির্বাচন অসম্ভব। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না আশঙ্কায় কয়েকটি বাম দল ঢাকা দুই সিটির নির্বাচন বর্জন করেছে।
ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে ৬ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন ডিএনসিসির নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম। প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, বিএনপির তাবিথ আউয়াল, সিপিবির সাজেদুল হক, পিডিপির শাহীন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফজলে বারী মাসউদ এবং এনপিপির আনিসুর রহমান দেওয়ান। যাচাই-বাছাইয়ে জাতীয় পার্টি মনোনীত ব্রিগেডিয়ার (অব) জিএম কামরুল ইসলামের মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয়ে যায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে ৭ জন জনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন ডিএসসিসির নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন। প্রার্থীরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস, বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মিলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুর রহমান, এনপিপির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান, গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আকতার উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ। একই সঙ্গে দুই সিটির কমিশনার ও সংরক্ষিত আসনের কমিশনারের পদের প্রার্থীদের যাচাই বাছাই হয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারী প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।
গতকাল ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেখা গেছে অন্যরকম দৃশ্য। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্যান্য দলের মেয়র প্রার্থীরা পাশাপাশি চেয়ারে বসে রয়েছেন। তারা একে অপরের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সে দৃশ্য টিভির মাধ্যমে নগরবাসী দেখেছেন। কিন্তু এই দৃশ্য দেখার সঙ্গে মানুষ আরো দেখেছে বিএনপির একজন কমিশনার প্রার্থীকে গ্রেফতার করার দৃশ্য।

এমন দৃশ্য দেখার পর দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, এই ইসির কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করা উচিত নয়। সরকারের হাইকমান্ড যা নির্দেশনা দেয় তা বাস্তবায়নে এরা মরিয়া হয়ে উঠে। একমাত্র নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের কথাবার্তায় পরিষ্কার তারা ক্ষমতাসীনদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত। এতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির ইমেজ তলানিতে গেছে।

টিআইবি ও সুজন জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের যে প্রস্তাব দিয়েছে তা দেশের মানুষের প্রাণের দাবি। আলাউদ্দিনের আশ্চার্য প্রদীপ হাতে দিলেও এরা নিরপেক্ষ ভোট করতে পারবে না। সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের জনগণের আস্থা নেই। অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ঢাকা দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগের কারণ রয়েছে। কারণে নির্বাচন কমিশনের নিরেপক্ষতা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। গত জাতীয় নির্বাচনে তারা অনেক কারসাজির আশ্রয় নিয়েছে। বস্তুত জাতীয় নির্বাচনে যা হয়েছে তা মূলত এক ধরণের অশুভ আঁতাত। নির্বাচন কমিশন, এক শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি দলের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা মিলে এ আঁতাত তৈরি করেছিল। যে কারণে এই নির্বাচনের কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে জনমনে ব্যপক সন্দেহ রয়েছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি কারো কোনো আস্থা নেই। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো আগে যে ধরনের অংশগ্রহণমূলক হতো এখন সেরকম আর দেখা যায় না। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনো উৎসাহ কাজ করছে না। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন যে খুব সজাগ তার লক্ষণও দেখতে পাচ্ছি না। নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে? এমন প্রশ্নে এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, পরিস্থিতি সম্পর্কে গণমাধ্যম থেকে আমরা যতটুকু খবর পাচ্ছি, অবশ্যই নৈরাশ্যজনক, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ আবস্থায় নির্বাচন যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে তাও বলা যাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন বলছেন দুই সিটিতেই ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। কিন্তু ইভিএম নিয়ে এখনও মানুষের মধ্যে সংশয় রয়েছে। ইভিএম ব্যবহারের আগে আরো আলাপ-আলোচনার দরকার ছিল। ইসিকেই ইভিএম এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

গণদলের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধ এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেন, এই নির্বাচন কমিশনার ‘রাতে ভোট দিনে সরকার, জনগণের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কি দরকার’ প্রবাদ কার্যকর করেছে। এদের দিয়ে সিটি কর্পোরেশনে নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করা উচিত নয়। এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন একটি বিশ^াসযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি। নির্বাচন কমিশন ভোটের অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে পারেনি।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, বর্তমান ইসির প্রতি আস্থা না থাকায় ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই ইসির পক্ষে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। এটা অক্ষম কমিশন। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে পাড়ার কোনো ক্লাবের নির্বাচনও সুষ্ঠু করা সম্ভব কি-না তা নিয়ে গুরুতর সন্দেহ রয়েছে। বর্তমান কমিশনের প্রতি দেশের মানুষের কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নেই।

ঢাকা দকিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র পদপ্রার্থী আলহাজ আব্দুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, বিগত জাতীয় নির্বাচনে শুধু ভোট ডাকাতিই নয়; মহাভোট ডাকাতি হয়েছে। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী মাঠে নামার পরেই বুঝতে পারবো সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে কি না। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে ইনকিলাবকে বলেন, নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা নেই। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার তাদের আনন্দ উল্লাস দেখে মনে হচ্ছে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সিইসি ও সরকারের প্রতি আস্থা না থাকার কারণেই ইসলামী দলগুলো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ : জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, বিগত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যে দৃশ্যের অবতারণা করেছে তাতে এই সরকারের অর্ধীনে সিটি কর্পোরেশনে অংশ নেয়া

প্রশাসনে ইসির চিঠি : ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলি না করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চিঠিতে ভোটের ফলের গেজেট প্রকাশ হওয়ার ১৫ দিন পর্যন্ত কাউকে বদলি না করার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পূর্ব অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা যাবে না বলে আইনের সংশ্নিষ্ট ধারা স্মরণ করিয়ে মন্ত্রিপরিষদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু গতকালই ডিএসসিসি’র ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী তাজউদ্দিন আহমেদ তাজুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে গাড়ি পোড়ানো ও নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাজউদ্দিন আহমেদ তাজু বংশাল থানা বিএনপির সভাপতি। অথচ নির্বাচন কমিশন নীরব।

নিরপেক্ষতা বিতর্ক : দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে রাজধানী ঢাকার মানুষ যখন উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে; তখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির নেতারা কথাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। তারা একের অপরের বিরুদ্ধে তীর ছুঁড়ছেন, কামান দাগাচ্ছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, আমরা জানি নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না; এই সরকার ও ইসির অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় এটা দেশবাসীকে বোঝাতে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।

অতপর আওয়ামী লীগের যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবুল আলম হানিফ বিএনপির প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না জেনেও কেন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন? পরের দিন হানিফের সুরেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চান বিএনপি কেন নির্বাচনে এলো? তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, নির্বাচনটা খারাপ সেটা প্রমাণ করার জন্য; বিষয়টা হাস্যকর। নির্বাচনে যদি কারচুপি হবে বুঝতেই পারেন তাহলে ভোটে এলেন কেন? গতকালও দুই নেতার সঙ্গে সুর মিলিয়ে প্রবীণ রাজনীতিক তোফায়েল আহমদ বলেছেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না জেনে কেন বিএনপি ভোটে এলো? এবারের সিটি নির্বাচনে বিএনপি অনেক ষড়যন্ত্র করবে। বিএনপি বিভিন্নভাবে এ নির্বাচনে অপপ্রচার চালাবে। কিন্তু আমরা সবাই মাঠে থাকবো।

এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন অবাধ এবং নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচন কমিশন দক্ষতার সঙ্গে এই নির্বাচন পরিচালনা করবেন। এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপি অংশগ্রহণ করার কারণেই দুই সিটি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে। আমরা যেহেতু গণতন্ত্র বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রের ধারাকে অব্যাহত রাখতে চাই সেই জন্য বারবার জনগণের কাছে যাচ্ছি। আর সরকার এবং নির্বাচন কমিশন তারা পক্ষপাতিত্ব করে, ডাকাতি করে, জোর করে, রেজাল্ট ছিনতাই করে একটি দলের পক্ষে দিচ্ছে। দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, এই ইসির ওপর কারোরই আস্থা নেই। তার পরও যাচ্ছি। এখন ভবিষ্যতে কী হবে না-হবে, সেটা তখনই বলা যাবে।

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের লড়াই হবে। এ লড়াই শুরুর আগেই নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের স্ববিরোধী বক্তব্য ও ইসির কর্মকা- নিরপেক্ষ নির্বাচনের আস্থার বদলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। সে জন্যই আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা টিআইবি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনারের অপসারণ করে ইসিকে নতুন করে সাজানোর প্রস্তাব দিয়েছে। টিআইবি বলেছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ইসি যেভাবে একের পর এক কেলেঙ্কারির জন্ম দিচ্ছে, তা অভূতপূর্ব ও বিব্রতকর। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের জন্য প্রেসিডেন্টের প্রতি আবহান জানিয়ে তিনি বলেছেন সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ইসি কার্যত আঁতাত করছে। তাদের আশঙ্কা যে অমূলক নয় তার প্রমাণ নির্বাচনে প্রভাব পড়ে এমন কাজ না করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে ইসির চিঠি দেয়ার পর গতকালই বিএনপির একজন কমিশনার প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Ah Shipon ৩ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:২৬ এএম says : 0
সঠিক
Total Reply(0)
Raaz Riyad ৩ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:২৭ এএম says : 0
আস্থার জায়গাই ত নেই।আস্থাহীনতায় কেন ভুগবে না
Total Reply(0)
Jamal Chowdhury ৩ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:২৭ এএম says : 0
মানুষের প্রতি মানুষের আস্তা থাকে অমানুষদের উপর থাকেনা।
Total Reply(0)
Zaman Bulu ৩ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৩০ এএম says : 0
সেবার কতো আশা করে ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছিলাম, পথে আওয়ামী পন্থী এক বড় ভাই বললেন যাওয়ার দরকার নাই ভোট দিতে পারবে না । আমি বললাম কেন, উনি বললেন তোমাদের ভোট দেওয়া হয়ে গেছে ।
Total Reply(0)
Abu Sayed ৩ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৩০ এএম says : 0
মনের ভিতর এতই কষ্ট জমা আছে যে,প্রায় পাঁচ বছর পর একবার সময় আসে একটি মাত্র ভোট দেয়ার, আর সেই ভোট দেয়া দূরে থাক ঘরেই যদি না থাকা যায়,মিছিল, মিটিং, সমাবেশ না করা যায়,রাস্তায় গেলে হত্যার হুমকি, মানলার হুমকিদেয়া হয়,কি বলবো কয়েক কোটি মানুষ আজ বন্দির মতো জীবন যাপন করছে এটা চির সত্য,
Total Reply(0)
Abul Kalam Azad ৩ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৩১ এএম says : 0
জাতির সাথে বেইমানি করার একটি নির্বাচন ছিল, মন থেকে ঘৃণা করি বর্তমান সরকারকে।
Total Reply(0)
Billal Hossain ৩ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৩২ এএম says : 0
30 শে ডিসেম্বর 2018 সালের নির্বাচন ছিল রাতের ভোট
Total Reply(0)
খলিলুর রহমান ফিরোজি ৩ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৩২ এএম says : 0
কবরস্থানের মৃতরা ছটফট করতেছে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে, কখন সেই ভোটের দিন আসবে! তারা একটি ভোট দেওয়ার জন্য এই পৃথিবীতে আসতে পারবে।
Total Reply(0)
Mahfuzul Alam ৩ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৩৩ এএম says : 0
অনেক সুন্দর শান্ত পরিবেশের নির্বাচন। যা জাতি আজীবন মনে রাখবেন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন