ইন্দোনেশিয়ায় ভারি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে হাজারো মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর প্রকাশ করেছে।
বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ শহর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় চলমান বৃষ্টিকে ‘ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ বর্ষণ’ বলে উল্লেখ করেছে দেশটির আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূ-প্রাকৃতিক বিষয়ক সংস্থা-বিএমকেজি। আগামী ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত এ ভারি বর্ষণ চলতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে জাকার্তার অনেক অংশ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। আবাসিক এলাকা ও সরকারি স্থাপনা থেকে পানি অপসারণে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কয়েকশ পাম্প মোতায়েন করেছে শহর কর্তৃপক্ষ।
টানা বর্ষণের ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা ও আশপাশের অঞ্চল। কোথাও কোথাও বানের পানি গলা পর্যন্ত ঠেকেছে। এসব এলাকা থেকে মৃত্যুর খবর আসতে থাকায় বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। শেষ খবর পর্যন্ত যা ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে জাকার্তার আকাশে যেন আর মেঘ না পৌঁছাতে পারে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে রাজধানীতে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তা ২০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ৩১ ডিসেম্বর রাত থেকে জাকার্তা ও এর আশপাশের অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
জাকার্তায় এক কোটি মানুষের বাস এবং জাকার্তা মহানগরজুড়ে বাস করেন প্রায় তিন কোটি মানুষ। এপ্রিল মাসে বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বন্যা আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকে এ অঞ্চল।
এর আগে ২০০৭ সালে মৌসুমি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় রাজধানী জাকার্তায় অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এছাড়া পাঁচ বছর আগে নদনদীগুলো পানিতে টইটম্বুর হয়ে গেলে বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন