অনৈতিকতা এখন একটি জাতীয় সমস্যা। জাতীয়ভাবেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তকের বা ক্লাসের মধ্যে না থেকে প্রতিটি পেশার জন্যই নৈতিক শিক্ষা এখন সময়ের দাবী।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত নৈতিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা বিনিময় ও আগামীর কর্মভাবনা বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে নৈতিকতার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে তুলে ধরে এই সমস্যার সমাধান করার পরামর্শ দেন।
তারা বলেন, নৈতিকতার অবক্ষয় হচ্ছে সমাজের প্রতিটি স্তরে। স্কুল কলেজের শিক্ষাথী থেকে শুরু করে সর্বস্তরে বিরাজমান এই অবক্ষয় রুখতে অনিয়মের পাশাপাশি সততার জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থাও চালু করা দরকার। তাদের মতে, সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে নৈতিকতার অবক্ষয় দূর করতে পারলে সামগ্রিকভাবেই দেশের উন্নতি হবে।
সেন্টার ফর এথিক্স (সিইই) উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিইই-এর পরিচালক ড. মিজানুর রহমান, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার প্রফেসর ড. গোলাম রহমান, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেল্থ ইকোনোমিক্স-এর সাবেক পরিচালক প্রফেসর আব্দুল হামিদ, আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফাজলী ইলাহী, বাংলাদেশ একাডেমিক অব সায়েন্সে-এর সচিব প্রফেসর ড. হাসিনা খান, নর্থ আমেরিকান বাংলাদেশি ইসলামী কমিউনিটি (নাবিক)-এর প্রতিনিধি ড. রাশেদ নিজাম, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক ড. এম এহ্ছানুর রহমান এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক ড. খলিলুর রহমানসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ও নর্থ আমেরিকান বাংলাদেশি ইসলামী কমিউনিটি (নাবিক)-এর যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফর এথিক্স এডুকেশন (সিইই) দেশের স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিক শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে ২০১৮ সাল থেকে নৈতিক শিক্ষা কোর্স নামের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যতের কর্মভাবনা এই কর্মশালার মূখ্য উদ্দেশ্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন