ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ পর্যন্ত সব প্রকার চাঁদা, অনুদান বা পক্ষে প্রতিশ্রুতি দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য ব্যক্তিকেও এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
গতকাল শনিবার ইসির নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচনের জন্য গত ২২ ডিসেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুসারে আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা ২০১৬-এর বিধি ৪ অনুযায়ী নির্বাচনের আগে অর্থাৎ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী বা প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো প্রকার চাঁদা-অনুদান দিতে বা অঙ্গীকার করতে পারবে না। এ বিধিমালার বিধান লঙ্ঘন দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্টরা উল্লিখিত আচরণ বিধিমালার বিধি ৩১ অনুযায়ী দÐনীয় হবেন।
ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে নতুন ভিজিডি কার্ড ইস্যু কার্যক্রমসহ নতুন ধরনের কোনো প্রকার অনুদান/ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। তবে যেসব ত্রাণ কার্যক্রম আগ থেকে পরিচালিত হচ্ছে অর্থাৎ চলমান ত্রাণ কার্যক্রম চালু থাকবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি নির্বাচনের কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় নতুন ভিজিডি কার্ড ইস্যুসহ নতুন ধরনের কোনো প্রকার অনুদান/ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কোনো এলাকায় অনুদান/ত্রাণ বিতরণ সংক্রান্ত নতুন কার্যক্রম গ্রহণ আবশ্যক হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দুই সিটির মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ২ জানুয়ারি। বর্তমানে আপিল কার্যক্রম চলছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৯ জানুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন