ধানের শীষের সেই সুলতান মুহাম্মদ মনসুর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উচ্ছ¡াস প্রকাশ করলেন। গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
ড. কামাল হোসেনের অনুকম্পায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক পান। মৌলভীবাজার-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ড. কামালকে বুদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসেই সংসদে যোগদান করেন।
গতকাল সুলতান মনসুরকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ ১৯৮৬-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। এক-এগারোর সময় বিতর্কিত কর্মকাÐের কারণে দল থেকে বাদ পড়েন।
অনেক চেষ্টা করেও আওয়ামী লীগে ফিরতে না পেরে আওয়ামী লীগ বিম্বেষী হয়ে উঠেন। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে এদল-ওদলের বৈঠকে বক্তব্য দেন। তিনি বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির বিরোধিতা ও শেখ হাসিনার কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়ে মাঠ গরম করেন। এ জন্য ড. কামাল হোসেন দলবিহীন সুলতান মনসুরকে ঐক্যফ্রন্টে নেন।
বিগত নির্বাচনের সময় দল না থাকায় প্রতীক পাওয়া নিয়ে বিড়ম্বনা এড়াতে ধানের শীষ প্রতীকের জন্য বিএনপি নেতাদের বাসায় দৌড়ঝাঁপ করেন। অতপর বিএনপি তাকে ধানের শীষ প্রতীক দেয়। শুধু তাই নয়, ৩শ’ আসনে বিএনপির প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার আগেই মির্জা ফখরুল দলবিহীন সুলতান মনসুরের হাতে ধানের শীষ প্রতীক আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমর্থনে মৌলভীবাজার-২ আসনে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারণায় নামেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন। টানাহেচরা করে তাকে প্রহার করা হয়।
বিএনপির স্থানীয় নেতারা তাকে পিটুনি থেকে রক্ষা করেন। নির্বাচনের পর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সংসদে যোগদানের ঘোষণা দেন। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বেঈমানির কারণে তিনি দেশ-বিদেশের মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত ব্যক্তিতে পরিণত হন। তাকে নিয়ে নানান রসগল্প প্রচার হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন