শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

লালপুরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গাইড বই, তালা দিলেন সভাপতি!

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:২৮ পিএম

নাটোরের লালপুর উপজেলার লালপুর থানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফা বেগমের কক্ষে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ গাইড বই পাওয়ায় ওই কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হায়দার আলী। রোববার (৫ই জানুয়ারী) দুপুরের পর বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের গাইড ক্রয়ে বাধ্য করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুপুরে বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে লেকচার প্রকাশনীর ২৪০টি গাইড বই দেখেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হায়দার আলী। সেসময় প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন সভাপতি হায়দার আলী।
জানা যায়, নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই প্রধান শিক্ষক শরীফা বেগম নিজে ও অনান্য সহকারী শিক্ষক মারফত বিভিন্ন শ্রেণিতে গিয়ে লেকচার পবলিকেশন্সের গাইড বই কিনতে ছাত্রীদের চাপ দিতে থাকেন। তারা গাইড বই কিনতে অপারগতা প্রকাশ করলে শিক্ষকরা বিরুপ আচরণ করেন। এক পর্যায়ে বাধ্যতামূলকভাবে সহকারি শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষিকা ওই প্রকাশনীর গাইড বই কেনার জন্য চাপ দিলে ছাত্রীরা তাদের অভিভাবকদের জানায়। অভিভাবকরা বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে অবহিত করলে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে রোববার তিনি বিদ্যালয়ে আসেন। গাইড কিনতে বাধ্য করার বিষয়ে কথা বলতে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গেলে স্তুপ আকারে রাখা ওই প্রকাশনীর ২৪০টি গাইড বই দেখতে পান। এসময় প্রধান শিক্ষিকাকে না পেয়ে তিনি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হায়দার আলী বলেন, প্রধান শিক্ষক বছরের শুরুতেই একটি গাইড প্রকাশনীর সাথে চুক্তি করে বিদ্যালয়েই গাইড বই বিক্রি শুরু করেছেন। শিক্ষার্থীদের গাইড কিনতে বাধ্য করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গাইডের স্তুপ দেখে তালা লাগিয়ে দিয়েছি। সরকার বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দিয়ে যে সুনাম অর্জন করছে, শিক্ষকরুপী গাইড কোম্পানীর প্রতিনিধিরা সেখানে ব্যবসা আরম্ভ করেছে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শরীফা বেগম ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, পারিবারিক অনুষ্ঠানের কারণে ছুটিতে থাকায় তিনি গাইড বই সম্পর্কে কিছু জানেন না। তবে উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতারা তার কক্ষ ব্যবহার করে থাকতে পারেন। গাইড কিনতে ছাত্রীদের বাধ্য করার অভিযোগটিও সঠিক নয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হযরত আলী গাইডগুলো নিজেদের দাবী করে বলেন, ‘বছরের শুরুতে বিভিন্ন গাইড কোম্পানীর প্রতিনিধিরা শিক্ষকদের জন্য বই দেয়। সমিতির নিজস্ব কার্যালয় না থাকায় উপজেলা সমিতির জন্য বরাদ্দ গাইডগুলো ওই বিদ্যালয়ে রাখা ছিলো। ’
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ বলেন, সরকার গাইড বই নিষিদ্ধ করেছে। সেই নিষিদ্ধ গাইড বই কেনো প্রধান শিক্ষকের কক্ষে রাখা হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন