শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

চিনির মূল্যকারসাজি মীর গ্রুপের মালিককে সশ্রম কারাদন্ড ২২ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চিনি মূল্যকারসাজির দায়ে মীর গ্রুপের সহযোগি প্রতিষ্ঠান ইবনাত ট্রেডার্সের মালিক মীর মোহাম্মদ হোসেনকে এক মাসের সশ্রম কারাদ- ও এক লাখ টাকা জরিমান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান গতকাল (সোমবার) ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযানে এই সাজা দেন।
আদালত দুই বিক্রয় কর্মচারী (ম্যানেজার) কাঞ্চন মজুমদার ও আবুল কাসেমকে ৫০ হাজার টাকা করে এক লাখ টাকা এবং মীর মোহাম্মদ সওদাগরের এমডি জানে আলামকে পুনরায় চিনির বাজারে অস্থিরতা  তৈরি করার অপরাধে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। খুচরা চিনি বিক্রেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে  চিনির সাথে বাধ্যতামূলকভাবে সরিষার তেল কিনতে বাধ্য করায় দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের মীর আহমেদ সওদাগড় ট্রেডার্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘ইবনাত ট্রেডার্স’ এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উল্লেখ্য রোজার শুরুতেই সিন্ডিকেট করে চিনি প্রতি কেজিতে বার টাকা করে লাভ করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান এই মীর আহমেদ সওদাগর ট্রেডার্সের মালিক সালাম এবং এমডি জানে আলমকে দশ লাখ টাকা করে মোট বিশ লাখ টাকা জরিমানা করেন। ভবিষ্যতে চিনি বিক্রিতে অতিমুনাফা না করার শর্তে সে যাত্রায় শুধু জরিমানা করা হয়।
কিন্তু পরবর্তীতে অতিমুনাফা করার এক অভিনব কায়দা আবিষ্কার করে মীর গ্রুপের মালিক সালামের আরেক প্রতিষ্ঠান ইবনাত ট্রেডার্স। এটি পরিচালনা করেন তারই আপন ছোট ভাই মীর মোঃ হোসেন। তারা চিনির লাভ অন্যভাবে পুষিয়ে নিতে খুচরা দোকানদার যারা খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারের ক্রেতা তাদের প্রতি ৫ বস্তা চিনির (প্রতি বস্তা ৫০ কেজি করে মোট ২৫০ বস্তা) সাথে ৩২ লিটার করে ইবনাত ট্রেডার্সের ‘ইবনাত সরিষার তেল’ নিতে বাধ্য করে।
নির্বাহী ম্যাজিট্রেট জানান, খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেহেরির পর থেকে তারা চিনি কেনার জন্য লাইনে দাঁড়ান। গত সাত দিন ধরে চিনির এই সিন্ডিকেটটি ইবনাত সরিষার তেল না কিনলে চিনি বিক্রি করছিলো না। তারা আরো বলেন, ইবনাত সরিষার তেলের বিক্রি নেই বললেই চলে। তাই ইবনাত সরিষার তেলের ক্রয়মূল্য তারা চিনি বিক্রি করে তুলতে বাধ্য হচ্ছে। রোজার মাসের এই সময় যখন চিনির চাহিদা তুঙ্গে, তখন  মীর গ্রুপের এই সিন্ডিকেটের জনবিরোধী এই কার্যক্রমকে আমলে নেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। তিনি বলেন, সরেজমিনে গিয়ে কাগজপত্র ঘেটে দেখা যায়, গত সাত দিন ধরে প্রায়) ৫৬ হাজার লিটার সরিষার তেল কিনতে বাধ্য করে। মূলত খুচরা বিক্রেতারা এ তেল বিক্রয় করতে না পারায় চিনির দাম বাড়িয়ে রাখত এবং অতি মুনাফা করত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন