শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নামে ইউটিউবে অশ্লীলতা ছাড়ানো হচ্ছে

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

ইউটিউব চ্যানেলের ব্যবসাকে রমরমা করে তুলতে এক শ্রেণীর তথাকথিত নির্মাতা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নামে অশ্লীলতাকে বেছে নিচ্ছেন। রগরগে যৌনদৃশ্য সম্বলিত এসব অশ্লীল স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রতি দর্শক আকৃষ্ট হচ্ছে। একটা সময় চলচ্চিত্রে যে অশ্লীলতার যুগ ছিল, এখন তা ইউটিউবে ফিরে এসেছে। এখানে তথাকথিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র চালাতে কোনো সেন্সর নীতিমালা মানা হচ্ছে না। ফলে দিন দিন ঐ শ্রেণীর নির্মাতারা অভিনেতা-অভিনেত্রী নামের এক শ্রেণীল ছেলে-মেয়েকে দিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে দেশীয় সংস্কৃতিকে কলুষিত করছে। একজন ইউটিউবার বলেন, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলোর জন্য কোনো সেন্সর সনদপত্রের প্রয়োজন হয় না। সেগুলো যেমন খুশি নির্মাণ করা যায়। তাতে যৌন সুরসুরি থাকলেও কোনো সমস্যা থাকে না। আর যৌন সুরসুরির আইটেমে ভিউ বেশী হয় । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই ইউটিউবার বলেন, বিনিয়োগটা দীর্ঘ মেয়াদে হলেও ফেরত পাওয়া যায়, অন্তত লোকসান দিতে হয় না। এছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে একটা ‘আঁতেল’ ভাব থাকে, যা নির্মাতারা বুক ফুলিয়ে জাহির করতে পারেন। তবে সুস্থ ধারার স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাতাও আছেন। তারা সত্যিকার অর্থেই সম্মানের জন্য সেগুলো নির্মাণ করেন। এসব চলচ্চিত্রগুলো সেন্সর ছাড়পত্র নিয়ে চালানো হয়। এখন বিজ্ঞাপনের আধিক্যের কারণে টেলিভিশনের প্রতি দর্শকের আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। মানুষের হাতে হাতে এনড্রয়েড মোবাইল থাকায় এমবি খরচ করে ইউটিউবে ঢুকে যাচ্ছে। তারা বিনোদনের জন্য নিজের ইচ্ছামতো বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে পারে। বিশেষ করে যৌন সুরসুরির স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রতি অনেকের আগ্রহ বেশি। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নির্মাতারাও ভিউয়ার্সদের আগ্রহের সুযোগ নিচ্ছেন। দৈর্ঘ্যেরে স্বল্পতার কারণে এ ধরনের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে কম সময় লাগে। স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির শিল্পীরা নিজেদেরকে অভিনেতা বা অভিনেত্রী বলেন না, বলেন মডেল। ফলে তথাকথিত অশ্লীল স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাতারা এসব মডেলদের দিয়ে যা খুশি তা করছে। তাদের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সংস্কৃতি অঙ্গনের লোকজন মনে করছেন, অশ্লীল এসব ভিডিও কনটেন্টের বিরুদ্ধে নীতিমালা প্রনয়ন করা জরুরী। তা নাহলে, তরুণ সমাজ বিপদগামী হয়ে পড়বে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন