শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

দরপতন থামছে না পুঁজিবাজারে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

পুঁজিবাজারে দরপতন দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বছর ২০২০। সেই দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবারও বড় ধরনের পতন হয়েছে স‚চকের। দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান স‚চক ডিএসইএক্স ৫৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২২৮ পয়েন্টে। পরপর চারদিন দরপতনে ডিএসইর প্রধান এ স‚চক কমেছে প্রায় ২৩০ পয়েন্ট।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) স‚চক প্রায় ১২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৯ কমে হয়েছে ১২ হাজার ৮৮১ পয়েন্ট।

পঁজিবাজারে ২০১৯ সালের মন্দাভাবেই ২০২০ সাল শুরু হয়েছে। দরপতনের ধাক্কায় ছোট-বড় সব বিনিয়োগকারী হতাশ-ক্ষুব্দ।

২০১০ সালে বড় ধসের পর পুঁজিবাজারে সবচেয়ে ‘খারাপ’ অবস্থা গেছে ২০১৯ সাল। ২০১০ এর ধসের পর ২০১৬ সালের শেষ দিকে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে থাকে। ২০১৭ সাল গিয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে আবার পতন শুরু হয় পুঁজিবাজারে। ২০১৯ সালে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও তা স্থায়ী হয়নি। পতনের ধাক্কায় বাজার একেবারে তলানীতে নেমে যায়। সেই মন্দার কবল থেকে বের হতে পারছে না বাজার। টানা পতনে এক বছরের মধ্যে ডিএসই বাজার ম‚লধন হারিয়েছে ৭১ হাজার কোটি টাকার বেশি।

গতকাল লেনদেনের শুরুতে প্রথম ২০ মিনিট স‚চক একটু বাড়লেও তা ধরে রাখতে পারেনি। ২০ মিনিট পরেই স‚চক পত শুরু হয়। লেনদেন শেষ হওয়া পযন্ত চলে পতন। সিএসইর অবস্থাও একই। প্রথম আধাঘন্টা স‚চক ভাল থাকলেও পরের সাড়ে তিন ঘন্টা পতনের ধারাতেই কেটেছে।

স‚চক পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে এদিন লেনদেনও কমেছে আগের চেয়ে। ঢাকার বাজারে এদিন লেনদেন হয়েছে ২৭৯ কোটি টাকা যা আগের দিনের চেয়ে ৪৭ কোটি টাকা কম। চট্টগ্রামেও লেনদেন সামান্য কমে হয়েছে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা।

এদিন ঢাকার বাজারে লেনদেনে শীর্ষে ছিল লাফার্জ হোলসিম, এডিএন টেলিকম, স্টান্ডার্ড সিরামিক, ব্র্যাক ব্যাংক ও কেপিসিএল। দাম বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল এডিএন টেলিকম, ন্যাশনাল ফিড মিল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্র্যাক ব্যাংক ও স্টান্ডার্ড সিরামিক। দর হারানোর শীর্ষে ছিল মেঘনাপেট, আনলিমা ইয়ার্ন, বিচ হ্যাচারি, নর্দার্ন ও প্রাইম টেক্সটাইল।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ahammad ৯ জানুয়ারি, ২০২০, ২:৪৮ এএম says : 0
বরংবার প্রতারিত হওয়ার পর ও যাহারা পুজিবাজারে যাচ্ছে তাহারা নিশ্চই বেকুপ।তাহারা এত লোকসান দেওয়ার পর ও যায় কেন ? এই সরকারের আমলে যেখানে ব্যাংকথেকে ঋনের নামে তাদের আস্হাভাজন লোকেরা হাজার হাজার কুটিটাকা আত্তসাত করতেছে,শেয়ার বাজার থেকে বারংবার হাজারকুটি লুট করে নেওয়ার পরও কোন প্রকার জবাব দিহিতা নাই বা বিচার হচ্ছে না। সেখানে ভালো কিছু আশা করা সাধারন জনগনের লাভের আশা করা মানে বোকার সর্গেবাস করা ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন