বিপিএলে প্লে-অফ নিশ্চেতের ম্যাচে অল্প পুঁজি নিয়েও বড় জয় পেয়েছে মাশরাফির ঢাকা প্লাটুন। বোলারদের নৈপুণ্যে রংপুর রাইডার্সকে উড়িয়ে ৬১ রানের জয় তুলে নিয়েছে তারা। এ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে টুর্নামেন্টের প্লে অফ নিশ্চিত করেছে দলটি। ঢাকার দেওয়া ১৪৬ রানের মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে রংপুরের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দলকে জোড়া সাফল্য এনে দেন ঢাকার স্পিনার মেহেদী হাসান। নাঈম ৪ ও ওয়াটসন শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন।
দলের বাকি ব্যাটসম্যানরাও ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দেন। ঢাকার প্রত্যেক বোলারই রংপুর শিবিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে উইকেট তুলে নেন। মেহেদী-মাশরাফিদের বোলিং তোপে রংপুরের ইনিংস স্থায়ী হয় মাত্র ৯৩ বল। ৮৪ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়াটসনরা। সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন আল আমিন। বাকিদের মধ্যে ক্যামেরন ডেলপোর্ট করেন ২০ রান।
মেহেদী তুলে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া মাশরাফি, ফাহিম আশরাফ ও সাদাব খান প্রত্যেকের ঝুলিতে যায় ২টি করে উইকেট। বাকি ১ উইকেট পান হাসান মাহমুদ।
এর আগে, আজ মিরপুরে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে আসেন ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। দলকে ২৬ রানে রেখে আউট হন বিজয়। এরপর ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে দলীয় ৪১ রানে সাজঘরে ফেরেন তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা মেহেদী হাসান। ১৬.৩ ওভারে ১০৪ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বিপদে ঢাকা।
এ দিন মুস্তাফিজ-তাসকিনদের বোলিং তোপে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেনি ঢাকার কেউই। সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে ধীর গতিতে ব্যাটিং করা তামিম এ রান করতে খেলেন ৩৮টি বল। শেষ দিকে ঢাকার মান রক্ষা করেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার সাদাব খান। ১৯ বলে ৩১ রান করে দলকে ১৫০ এর কাছাকাছি পুঁজি এনে দেন তিনি। এ রান করতে সাদাব হাঁকান তিনটি ছক্কা। ঢাকার ইনিংসে সাদাব ছাড়া আর কেউই ছক্কা হাঁকাতে পারেনি।
রংপুরের বোলার মুস্তাফিজ ও তাসকিন পান ৩টি করে উইকেট। দুটি উইকেট নেন মোহাম্মদ নবী। এছাড়া বাকি একটি উইকেট নেন লুইস গ্রেগরি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন