শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আরএসএস’র ঘরে ধরাশায়ী বিজেপি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৫ এএম

আরএসএস-এর ঘরে ধরাশায়ী বিজেপি, নাগপুর জেলা পরিষদে জয়জয়কার কংগ্রেস-এনসিপির। গড়করির গড়েই মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ির নির্বাচনী কেন্দ্র নাগপুরে জেলা পরিষদের ভোটে ভরাডুবি বিজেপির। এই নাগপুর আবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের নির্বাচনী ক্ষেত্রও। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদর দপ্তরও এই নাগপুরেই। আর সেখানেই কি না জেলা পরিষদের ভোটে হার বিজেপির। জয়জয়কার কংগ্রেস-এনসিপি জোটের। ৫৮ আসন বিশিষ্ট নাগপুর জেলা পরিষদে ৩০টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি পেয়েছে ১০টি। সেখানে বিজেপির ঝুলিতে সাকুল্যে ১৫টি আসন। নাগপুরে এই ধাক্কায় চিন্তার ভাঁজ গেরুয়া শিবিরের নেতাদের কপালে। শুধু নাগপুরই নয়, পালঘর, নান্দুরবার এবং ওয়াশিম জেলা পরিষদেও ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। ধুলে জেলা পরিষদে কংগ্রেসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বিজেপির। অন্যদিকে, সবাইকে অবাক করে আকোলা জেলা পরিষদ ছিনিয়ে নিয়েছে প্রকাশ আম্বেদকরের বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ি। সবচেয়ে তাৎপর্যপ‚র্ণ বিষয়, নাগপুর জেলায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও জাহাজ মন্ত্রী নীতীন গড়করির নিজের গ্রামেও জেলা পরিষদের আসনে হেরেছে বিজেপি। গত মঙ্গলবার জেলা পরিষদের নির্বাচনে ৬৭ শতাংশ ভোট পড়ে। তখনই আন্দাজ করা গিয়েছিল, লড়াই কঠিন হতে চলেছে গেরুয়া শিবিরের। গেরুয়া শিবিরের অন্দরে গুঞ্জন, নাগপুরে বিগত কয়েক বছরে খরা এবং কৃষক আত্মহত্যার ঘটনার প্রতিফলন ঘটেছে জেলা পরিষদের ভোটে। বিদর্ভ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে গত কয়েক বছরে। শিব সেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের সরকার মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসে কৃষকদের ঋণমকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও ফসলের সঠিক সহায়ক ম‚ল্য না মেলা, গ্রামীণ বিকাশে পিছিয়ে রয়েছে এই জেলা পরিষদ। স¤প্রতি সিএএ ও এনআরসি নিয়েও দেশজুড়ে যেভাবে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হচ্ছে, তার আঁচ পড়েছে এই নির্বাচনে। যে কারণে একের পর এক জেলা পরিষদ হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। টিওআই।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Partha Sarathi Ghosh ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১১ এএম says : 0
Excellent ... Very good news.
Total Reply(0)
Suddhasattwa Bajpayee ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১১ এএম says : 0
অনেক ধোয়া এখন বাকি আছে, হবে চিন্তা নেই।
Total Reply(0)
Binoy Chakrabortty ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১২ এএম says : 0
ভারতীয় গণতন্ত্রে এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা, যে দলের সরকার থাকে লোকাল বডি ইলেকশনে তারাই প্রাধান্য পায় পুলিশ প্রশাসন কাজে লাগিয়ে।
Total Reply(0)
Saurav Pandey ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১২ এএম says : 0
এই অমিত শায়ের মতো উদগান্ডু আজ ভারতের মন্ত্রী। এই চোপা দেখলেই আমাশা আক্রমণ করে
Total Reply(0)
Md Hafijur ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১৩ এএম says : 0
কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়তে গিয়ে বিজেপি মুক্ত ভারত হওয়ার অপেক্ষায়
Total Reply(0)
Shamima Rahman ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ১:১৩ এএম says : 0
সাধারণ মানুষ শান্তি চায়!
Total Reply(0)
Rezaul Karim ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ৯:১৩ পিএম says : 0
হুইন্যা খুলি অইলাম!
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন