গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, নিরপেক্ষ সুশীল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। স¤প্রীতির বাংলাদেশ চাইলে সা¤প্রদায়িকতা যারা সৃষ্টি করে, তাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট কথা বলতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে স¤প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। পূর্তমন্ত্রী বলেন, এখানে নিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি অবাক হই যখন রাতে টেলিভিশনে টকশোতে দেখি এদেশের রাজনীতিবিদরা ইনিয়ে বিনিয়ে দুর্নীতিবাজদের পক্ষে কথা বলেন। শুধু দুর্নীতিবাজ নয়, সা¤প্রদায়িকতার বীজ রোপণ করেছিল যারা, তাদের পক্ষে যখন কথা বলেন, তখন অবাক হই কোন সমাজে বাস করছি। এ রাষ্ট্র এভাবে চলতে পারে না। তিনি বলেন, আমি যখন দেখি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এক ব্যক্তির হয়ে একজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ জামিনের পক্ষে নামার ঘোষণা দেন, তখন বুঝি এ লোক কিসের সুশাসন চায়। তিনি তো চান দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সামনে আসুক। আমি যখন দেখি তারা জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে ঐক্যের নেতা সাজেন, তখন বুঝি কিসের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন। লিংক অব চেইন তো জামায়াতের সঙ্গে উনার। একথাগুলো পরিষ্কার করে বলতে হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলো, অনেক বুদ্ধিজীবী বলেছেন এ বিচারে না যেতে। তাদের শেকড় নাকি অনেক দ‚র বিস্তৃত দেশের বাইরে। শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার কমিটমেন্ট বঙ্গবন্ধু আইন করেছিলেন, আমি বিচার সম্পন্ন করবো। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন ফোন করে কাদের মোল্লার ফাঁসি স্থগিত করার জন্য বলেছেন। ফোনে ৩৫ মিনিট কথা বলেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দেখবো।
একদিনও দেরি করেননি, পরেরদিন ফাঁসি কার্যকর করে দেখিয়েছেন, একাত্তরে তোমরা বিরোধিতা করেছো, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে না করছো, তোমাদের সঙ্গে আমাদের আপোষ হতে পারে না। ধর্ষক এবং তাদের বিচারের রায় বাংলাদেশে কার্যকর হবে।সা¤প্রদায়িকতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দেননি শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে সা¤প্রদায়িক রাষ্ট্র করার সব চেষ্টা তিনি প্রতিহত করেছেন।
স¤প্রীতি বাংলাদেশ আহŸায়ক পীষূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অসিম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক উপাচার্য কামরুল হাসান খান, সাবেক সচিব নাসির উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন