শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পথভোলা পর্যটকদের ভরসা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় পর্যটকদের কাছে পরিচিত একটি নাম হচ্ছে ‘হামি’। গভীর জঙ্গলে পথ হারানো পর্যটকদের পথ দেখিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেয় হামি। আর এ কাজ করে হামি আলোচনায় এসেছে।
হামি হচ্ছে একটি কুকুর। কমলগঞ্জের হামহাম জলপ্রপাত পাহাড় ও ঝিরি পথের কারণে বিখ্যাত। উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কুরমা বনবিট এলাকায় পায়ে হাঁটা পথে গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। একটু অন্য পথে গেলে পথ হারানোর শঙ্কা থাকে। এছাড়া কাছেই ভারতের সীমান্ত। তাই প্রাণহানির ঝুঁকিও রয়েছে।

অনেক সময় ফেরার পথে সন্ধ্যা নামে। তখন বিভিন্ন পশু-পাখির আওয়াজ আর পানির শব্দ মিলে ভীতিকর অবস্থা তৈরি হয়। ঠিক তখনই পর্যটককে ভরসা দেয় হামি। বন থেকে বের হয়ে লোকালয়ে আসা পর্যন্ত হামি পথ দেখায়। কখনো সামনে থেকে। কখনো পেছনে থেকে আগলে নিয়ে আসে পর্যটকদের।
হামি ঝুঁঁকিপূর্ণ রাস্তায় বিকল্প পথে দেখায়। বিকল্প পথে যেতে চিৎকার করে ডাকে। যদি কারো সঙ্গে গাইড না থাকে, তাহলে হামিই তার গাইড। ঝরনায় একজন পর্যটক থাকলেও হামি একা ফিরবে না। শেষ পর্যটক হামহাম থেকে চলে এলে হামিও লোকালয়ের পথে হাঁটে।

স্থানীয় গাইড ও এলাকাবাসীদের কথা, কুকুরটি গত দুই বছর ধরে পর্যটকদের সঙ্গে প্রতিদিন সকালে হামহাম জলপ্রপাতে যায়। সেখানে সারা দিন থাকে। পর্যটকদের দেয়া বিভিন্ন খাবার খায়। হামির সঙ্গে আরেকটি কুকুর আছে। সেটার নাম ‘মামি’। তবে হামিই দায়িত্বশীল। যতক্ষণ পর্যটকের আনাগোনা থাকবে, ততক্ষণ হামিও থাকবে।

পর্যটক গাইড নারায়ণ নুনিয়া জানান, এ কুকুর তাদেরই গ্রামে বেড়ে উঠেছে। হামি প্রতিদিন সকালে তার সঙ্গে হামহামের রাস্তায় পা ফেলে। দিন শেষে যারা হামহাম থেকে ফিরে আসেন, তাদের সঙ্গে আসে। কুকুরটি কারো সঙ্গে থাকলে এ বনে চলতে তার আর গাইড লাগে না। পথ ভুলে গেলে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। সূত্র : ওয়েবসাইট।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন