কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের উত্তর আশ্রাফপুর এলাকার একটি বহুতল ভবনের অনুমোদিত নকশার বহির্ভূত অংশ ভেঙে অপসারণের ক্ষেত্রে মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিষ্ক্রিয়তার কারণ জানতে চেয়ে রুল ইস্যু করেছে হাইকোর্ট। ওই ভবনের লাগোয়া ক্ষতিগ্রস্ত এক বাসিন্দা এবং ১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের দাখিলকৃত পৃথক ২টি রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
কুমিল্লা নগরীর উত্তর আশ্রাফপুর (হালুয়াপাড়া) এলাকার মো. জয়নাল আবেদীন ও মোশারফ হোসেন সিটি কর্পোরেশন থেকে ৫তলা ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন নিয়ে সেখানে ৬ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তু তারা নকশা অনুমোদনের ছাড়পত্রের শর্তাবলী আমলে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন।
এতে নির্মাণাধীন ওই ভবনের লাগোয়া ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা ছাড়াও ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। কুসিক কর্তৃপক্ষ নির্মাণাধীন ভবনের নকশা বহির্ভূত অংশ ভেঙে অপসারণে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেশি মো. ইউসুফ আলী এবং ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শফিকুল আলম হেলাল হাইকোর্টে পৃথক রিট পিটিশন দাখিল করেন।
কুসিকের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল্লাহ বলেন, অনুমোদিত নকশার বহির্ভূত অংশ নিজ দায়িত্বে ভেঙে অপসারণ করার জন্য ভবন মালিকদের চ‚ড়ান্ত নোটিশ দেয়ার পরও তারা তা মানেনি।
মহামান্য হাইকোর্টের পৃথক রিট পিটিশনের ২টি আদেশের কপি আমরা পেয়েছি এবং পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তা সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবীর নিকট দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন