বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বুলডোজার দিয়ে মসজিদ ভাঙছে চীন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:০২ পিএম

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত মুসলমানরা শত শত বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে। বিশেষ করে মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়। বসবাসের পাশাপাশি আবার দীর্ঘদিন ধরেও চীনের কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী সরকার উইঘুর মুসলিমদের উপর চালাচ্ছে অবর্ণনীয় অত্যাচার নির্যাতন।

১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে আটক রেখেছে বন্দী শিবিরে। জোর করে মুসলিম নারীদের গর্ভপাত করাচ্ছে, বন্ধ্যা করে দিচ্ছে মুসলিম নারীদের। জোরপূর্ব মুসলিম নারীদেরকে চীনাদের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে অহরহ। এবার তারা উইঘুর মুসলিমদের একটি মসজিদ বোলডেজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে।

সাম্রাজ্যবাদী মুসলিমবিদ্বেষী চীনের জিংজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত উইঘুর মুসলিমদের ওপর দেশটির সরকারের নীরব নির্যাতন, অভিযান, ধর্মীয় নিপীড়ন করার অসংখ্য সংবাদ বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদপত্রের শিরোনাম হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

সম্প্রতি জিংজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের একটি মসজিদ গুড়িয়ে দেয়ার খবরটি প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী আরবি গণমাধ্যম আল-উম্মাহ।
আল-উম্মাহর প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘উইঘুর অধ্যুষিত পূর্ব তুর্কিস্তানের (জিংজিয়াং) একটি মসজিদ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে চীনের বর্বর সেনাবাহিনী। গুড়িয়ে দেয়া মসজিদের একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমটি। যাতে দেখা যায়, মসজিদের দেয়ালসহ মূল স্থাপনার একটি অংশ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। উইঘুর মুসলিম নির্যাতন ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী চীন সরকারের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক উইঘুর মুসলিমকে বন্দী শিবিরে আটকে রাখার বিষয়টি জাতিসংঘেও উঠেছে।

অগাস্ট ২০১৯-এ জাতিসংঘের একটি কমিটি জানতে পারে যে, ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলের কয়েকটি বন্দী শিবিরে আটক রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। চীন সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও উইঘুর মুসলিমদের উপর চালানো অত্যাচার ও নিপীড়ন তথ্যপ্রমাণসহ দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

তবে এর আগে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে বন্দী শিবিরে আটক রেখে তাদের দ্বীন ইসলাম পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বলপূর্বক তাদের নাস্তিক কমিউনিস্ট পার্টির মতাদর্শে বিশ্বাস স্থাপন করানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে নিজ ধর্মের সমালোচনা করতে তাদের ওপর বলপ্রয়োগ করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
** হতদরিদ্র দীনমজুর কহে ** ১১ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:২৫ পিএম says : 0
বিশ্ব মূসলিম নিরব কেন?কেনো তিব্র প্রতিবাদ করছেনা।জিংজিয়াংএর মুসলিমরা আর কত নিপিঁড়িত হবে?মসজিদ বুলড্রোজাড় দিয়ে গুড়িয়ে দিচ্ছে,তা দেখেও বিশ্ব মুসলিম প্রতিবাদ করবেনা?রুখে দাড়াও বিশ্বের সাহসি মুসলিমরা।
Total Reply(0)
khokon bangali ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ২:৪৪ পিএম says : 0
আসলে মুসলিম বিশ্বের নেতারা সবাই নপুংসক হয়ে গেছে,,, তা না হলে কেউ প্রতিবাদ করেনা কেনো? আল্লহর গজব পড়ুক তাদের উপর যারা অসহায় মুমরিমদের ুউপর নির্মম নির্যাতন করছে & যেসব মুসলিম নেতা এতোসব দেখেও চুপ করে আছে তাদের উপর,,,
Total Reply(1)
H Haque ১৮ জানুয়ারি, ২০২০, ৩:১৯ এএম says : 4
You are correct. Dr Haque
Piash ১৩ জানুয়ারি, ২০২০, ২:১২ এএম says : 72
এ মসজিদ স্থানান্তরিত হচ্ছে। যা অনেক সময় আমাদের দেশেও হয়।
Total Reply(0)
মনির হাজারী ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:৫২ এএম says : 0
ভাই আপনি কি ভাবে জানলেন এই মসজিদ স্থানান্তরিত হচ্ছে?
Total Reply(0)
NAZRUL ISLAM SARKAR ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:৩০ পিএম says : 0
LA ELAHA ILLAH ANTA SOBHANAKA INNI KUNTU MINAZ ZOALEMIN.
Total Reply(0)
jack ali ১৫ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:১৭ পিএম says : 0
O' Allah china transgress against You... O'Allah punish them in this World and Hereafter. Ameen
Total Reply(0)
H.M Arzue ১৬ জানুয়ারি, ২০২০, ১১:২৬ এএম says : 0
আর কতদিন দেখবেন, এবার প্রতিরোধ গড়ুন!!
Total Reply(0)
hosain Ahmad ১৬ জানুয়ারি, ২০২০, ৯:২৫ পিএম says : 0
China needs to be prosecuted. Can Bangladesh do this? or can INQILAB do this?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন