অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর মতো মানুষেরা ক্ষণজন্মা, এরা বেশি দিন বাঁচেন না। আমাদের সরকারের একটাই লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলেই দেশ উন্নত হবে।
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরঝিলের এমফি থিয়েটারে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজিত ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ’ উপলক্ষে এক আনন্দ উৎসবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। দিয়েছেন আমাদের নিজস্ব পরিচয়। দেশের সকল উন্নয়ন পরিকল্পনার সূচনা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই। তার হাত ধরেই সংবিধান পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু কবির মতো দেশের সকল উন্নয়ন সাজিয়েছেন। তিনি আমাদের মুক্তির কবি ছিলেন।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করার মধ্যদিয়ে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর একটাই লক্ষ্য জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে অনেক স্বপ্ন এখন বাস্তব হয়ে আমাদের সামনে উঠে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য অনুযায়ী সব কিছু বাস্তবায়ন করবো। ৩০ লাখ মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট আমাদের অনেক ঋণ। মুক্তিযুদ্ধে ২ লাখ মা-বোন সব কিছু হারিয়েছেন। তাদের ঋণ পরিশোধ কখনও হবে না। তারপরও দেশের উন্নয়ন করলে তাদের রুহ শান্তি পাবে।
দেশের উন্নয়ন তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এই অঞ্চলে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াকে হারিয়ে শীর্ষে অবস্থান করবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ টপ-২০ এর মধ্যে চলে আসবে। আপনারা এই হিসাব আমাদের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০৩১ সালে বাংলাদেশ তাইওয়ানকে ছাড়িয়ে যাবে। ২০৪১ সালে সোনার বাংলা গড়ে উঠবে। বর্তমানে ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৩০ নম্বরে অবস্থান করছে। ২০২৭ সালে বাংলাদেশ ২৪ তম অর্থনীতির দেশ হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালি আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি। যিনি বিশ্ব দরবারে আমাদের দিয়েছেন- একটা ভূখন্ড, একটি পতাকা, একটি মানচিত্র ও আমাদের পরিচয়। তিনি জন্ম নিয়েছিলেন বলেই জন্ম নিয়েছে বাংলাদেশ। তৃণমূল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপনের জন্য আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) সাহিন আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি একযোগে বাংলাদেশের সকল উপজেলায় এবং কেন্দ্রীয়ভাবে উসব পালন ও বর্ণিল আতশবাজি করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস ও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠানে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন