ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনার মূল আসামি রতন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিল্লাত হোসেন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এই মামলায় মোট ছয় আসামির তিনজন হাসান, সিফাত ও সবুজ শনিবারই আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন। এছাড়া রনিকে একদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। এ ঘটনায় সহায়তাকারী হিসেবে আসামি হওয়া এক কিশোরীকে শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অপর আসামি রতনকে শনিবার গ্রেফতার করে র্যাব। রোববার তাকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার পরিদর্শক শিকদার মুহিতুল আলম। সেই আবেদন মঞ্জুর করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিল্লাত হোসেন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিকদার মুহিতুল আলম জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রতন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি ধর্ষণের পরিকল্পনা ও ঘটনাসহ সবিস্তার বর্ণনা দিয়েছেন। মূলত প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বন্ধুদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ওই কিশোরীকে ডেকে এনে গণধর্ষণ করেন রতন। আর এক্ষেত্রে তাদের সহায়তা করেন ওই কিশোরীরই বান্ধবী, যাকে শনিবার গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন