বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ইসির সঙ্গে বৈঠকে রানা দাশগুপ্ত

সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন না হলে যদি কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে, তার দায় হিন্দু স¤প্রদায় নেবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিম চন্দ্র ভৌমিক। গতকাল সোমবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন হলে পূজা হবে কোথায়? আমাদের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবের সাথে পূজা হয়। নির্বাচন হলে কী করে পূজা-অর্চনা করবে? তাহলে নির্বাচন হলে তো পূজা হবে না! ৩০ জানুয়ারি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনেরসিদ্ধান্ত সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক হয়। ঐক্য পরিষদের নেতারা ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি বাদে যেকোনো দিন ঢাকা সিটির নির্বাচন করার দাবি জানান।

নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী প‚জা। প‚জার্থীদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। তারা ভোট দেবে নাকি প‚জা করবে। আর প‚জার দিন ভোট হলে তো প‚জা করা যাবে না। কেননা, বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। আর প‚জা তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই হয়। তাই প‚জার দিন যদি ভোট হয়, দেশের বাইরে কী বার্তা যাবে। কেননা, সংখ্যালঘু আড়াই কোটি হিন্দু স¤প্রদায়ের এটা তো ধর্মীয় এবং সাংবিধানিক অধিকার। দাবির কথা কমিশনকে জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলেছে। তারা তাদের অবস্থানেই রয়েছে। তাই হতাশ মনে ফিরে যাচ্ছি। কমিশন বলেছে সরকার যদি পরিবর্তন করে তারা ভোটের তারিখ পরিবর্তন নিয়ে ভাববে। এছাড়া কোর্টে রিট আবেদনের শুনানি থেকে মঙ্গলবার নির্দেশনা আসবে। তারপরে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, হতাশ মনে এই নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের বিদায় নিতে হয়েছে। সরকারের হিসাব অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা। আমরা বলার চেষ্টা করেছি, ২৯ জানুয়ারি সাড়ে ১০টার পর থেকে শ্রী পঞ্চমী তিথি শুরু হবে। তারপর দিন ৩০ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে তিথির অবসান ঘটবে। নিয়ম হল, শ্রী পঞ্চমী তিথির সকাল বেলা সূর্যোদয়ের পরে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এটাই ধর্মীয় শাস্ত্রীয় রীতি-নীতি বা বিধান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আহবান জানিয়ে রানা দাশগুপ্ত বলেন, নির্বাচন কমিশনের কথা হলো। মন্ত্রিপরিষদে যেহেতু সিদ্ধান্ত হয়েছে ২৯ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা, মন্ত্রিপরিষদ এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে এখান থেকে তারা পিছু হটতে পারবেন না। তিনি আরো বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয়, আমাদের অনুভূতিকে তারা যদি যথাযথ মর্যাদায় গ্রহণ করতে পারেন, তাহলে আড়াই কোটি মানুষের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ জানাব। এও বলেছি, সরস্বতী পূজার দিন নির্বাচন হলে কী বার্তা যাবে সাধারণ মানুষের কাছে। দেশের বাইরে কী বার্তা যাবে? সেখানে বলা হবে তখন যে, বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার যে সাংবিধানিক অধিকার, এটা ক্ষুন্ন হচ্ছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Kowaj Ali khan ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:৪২ এএম says : 0
রানাদাশ গুপ্তকে আইনের আওতায় আনা হোক সে একটা জাতীয় বেঈমান। শয়তানটায় বলে কি? যে বাংলাদেশে সে গরু জবাই বন্ধ করিতে চায়। সে ইংল্যান্ড এসে বলুক তাকে জুতা দিয়া বাইরাইয়া তার দাঁত ফেলে দিবো ।ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন