বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম

মুসলিম বাহিনীকে দৈত্য ভেবে মজুসীদের পলায়ন

খালেদ সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

মানবের বিপরীত শব্দ দানব। এর আভিধানিক অর্থ অসুর বা দৈত্য। ফার্সি ভাষায় দৈত্যকে বলা হয় দেও। কোরআন শরীফে সূরা ‘নমল’ এ ইফরীত শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। জ্বিনকে প্রচলিত ভাষায় দানব বলা হয়। ইফরীত বা দেও/দৈত্য জ্বিন শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত।

এ ইফরীত জ্বিনদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী, সাবার রাণী বিলকিসের রাজধানী দ্রুত নিয়ে আসার সংকল্প প্রথম ব্যক্ত করেছিল ইফরীত। কিন্তু আসেফ ইবনে বার্ফিয়া নামক আরেক জ্বিন তদপেক্ষা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিলকিসের সিংহাসন হজরত সুলায়মান (আ.)-এর সামনে হাজির করে দিয়েছিল বলে খোদ কোরআনের বর্ণনা হতে জানা যায়। প্রসঙ্গক্রমে মুসলিম বাহিনীর একটি বীরত্বপূর্ণ পদক্ষেপ দেখে দেওয়াঁ আমদান! দেওয়াঁ আমদান! দৈত্য বাহিনী এসে গেছে! দৈত্য বাহিনী এসে গেছে! বলে চিৎকার করে শত্রু পক্ষের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করা আমাদের এ রচনার লক্ষ্য।

ফার্সি ভাষায় একটি প্রবাদ আছে, ‘খানা-ই খালিরা দেওয়াঁ গিরান।’ অর্থাৎ খালি ঘর দেও-দৈত্যরা দখল করে। এ প্রবাদের সূত্রপাত হয় একটি ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ইতিহাসের বর্ণনা অনুযায়ী, সাহাবায়ে কেরামের একটি জামাত সামরিক অভিযানে পারস্যের একটি এলাকায় গমন করেন। তাদের গতিপথে একটি দরিয়া পড়েছিল।

তারা সাতরে নিরাপদে দরিয়া পার হয়ে ওপারের ভ‚খন্ডে অবতরণ করেন এবং শত্রু পক্ষের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করেন। সে এলাকার মজুসী (অগ্নি উপাসক) অধিবাসীরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে এই বলে পালাতে থাকে, ‘দেওয়াঁ আমদান! দেওয়াঁ আমদান!’ অর্থাৎ- দৈত্য বাহিনী এসে গেছে! দৈত্য বাহিনী এসে গেছে! মুসলিম বাহিনীর দখলে এসে যায় এলাকাটি সম্পূর্ণ বিনা যুদ্ধে।

উল্লেখ্য ফারসি ভাষায় ‘দেও’ শব্দের বহুবচন দেওয়াঁ, শক্তিশালী বলবান জ্বিন দৈত্য নামে পরিচিত। মানব সমাজে এরা মানুষের নানা ভাবে ক্ষতিসাধন করে থাকে, উপকারের পরিবর্তে অপকার বেশি করে থাকে এমনকি মানুষের প্রাণ নাশও করে। জ্বিন-দৈত্য কর্তৃক বহু মানুষের গলা টিপে ধরার বা হত্যা করার অনেক দৃষ্টান্তও রয়েছে। আমাদের সমাজে জ্বিন বা দেও-দৈত্য কর্তৃক নারী শিশুদেরকে হয়রান, উত্যক্ত করার বহু ঘটনা ঘটে থাকে, ভূতে পাওয়া, জ্বিনের আসর ইত্যাদি প্রচলিত।

জ্বিন চালান ভূত ও প্রেত তাড়ানোরও নানা ব্যবস্থা তদবির প্রচলিত। অপ্রকৃতিক বা মানসিক রোগী হিসেবে ডাক্তার, কবিরাজ, তাবিজ লেখক, পানি পড়াদাতা, হুজুরদের স্মরণাপন্ন হওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে। রোগীর নানা প্রকারের চিকিৎসার সাফল্য যেমন রয়েছে, ব্যর্থতাও রয়েছে অসংখ্য। জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এটি এক জটিল সমস্য হিসেবে বিরাজমান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Mohammad Ibrahim Faisal ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১:৫৫ এএম says : 0
আল হামদুলিল্লাহ,
Total Reply(0)
সত্য বলবো ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ২:০১ এএম says : 0
অনেক তথ্যবহুল আলোচনা।
Total Reply(0)
জন্মভুমি ছাতক ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ২:০১ এএম says : 0
শুকরিয়া নিয়মতি তথ্য বহুল আলোচনার জন্য।
Total Reply(0)
কে এম শাকীর ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ২:০২ এএম says : 0
আল্লাহ আমাদের মুসলিমদের সাহা্য্য করো।
Total Reply(0)
Azaher Uddin Shamim ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ২:০৮ এএম says : 0
Good
Total Reply(0)
Asikul Alam ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ২:০৮ এএম says : 0
নরকের কীট, এদের ভিতর সততা বলে কিছু নেই
Total Reply(0)
Faisal Alam ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ২:০৮ এএম says : 0
ন্যান্সি পেলোসি কট্টর ট্রাম্প বিরোধী। এটা সবাই জানে। কিন্তু লাভ নেই। আমেরিকা নিয়ন্ত্রণ করে তারাদের অস্ত্র ব্যাবসায়ীরা- প্রেসিডেন্ট নামে মাত্র।
Total Reply(0)
Sheikh Md Jamal ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ২:০৯ এএম says : 1
ট্রাম্প আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন