মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুই কর্মকর্তার গোপন বৈঠকে তোলপাড়

ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

ভারতীয় ক‚টনীতিকের সাথে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ এবং ড্রাফটিং বিভাগের সচিব নরেন দাস এবং একই বিভাগের যুগ্ম সচিব কাজী আরিফুজ্জামানের ব্যক্তিগত গোপন বৈঠকের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের কপি বিভিন্ন দফতরে দেখা গেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রতিবেদনের সফট কপি শেয়ার হয়েছে। শেয়ার হয়েছে ই-পেপারের প্রিন্ট ভার্সন। বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনের ভেতর অবস্থান করে অন্য দেশের স্বার্থ রক্ষাকারী কর্মকর্তাদ্বয়ের মুখোশ উন্মোচিত হওয়ায় অধিকাংশ কর্মকর্তাই স্পর্শকাতর এ প্রতিবেদনকে যথার্থ, তথ্যনির্ভর, বস্তুনিষ্ঠ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। গতকাল আইন মন্ত্রণালয় ছিল অনেকটাই থমথমে। কর্মকর্তাদের ছোটাছুটি ছিল কম। কেউ কারো সঙ্গে কথাও খুব একটা বলেননি। সবার মধ্যে দিনভর ছিল কানাঘুষা। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইন মন্ত্রণালয়ে আসেন দুপুরে। অবস্থানকালে রুটিন ওয়ার্ক নিয়েই তিনি ছিলেন ব্যস্ত। তাছাড়া দুই কর্মকর্তার বৈঠক সম্পর্কে আইনমন্ত্রীর অবস্থান এবং বক্তব্য প্রতিবেদনেই উল্লেখ রয়েছে। সরকারের একটি অনুবিভাগের সচিব এবং এক কর্মকর্তার স্বপ্রণোদিত ব্যক্তিগত গোপন বৈঠকের ঘটনাটি ছিল ‘টক অব দ্য মিনিস্ট্রি’। কোন কর্তৃত্ব বলে তারা এই বৈঠক করতে পারলেন- এটিই ছিল সবার প্রশ্ন।

এদিকে ইনকিলাব প্রতিবেদনের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় ড্রাফটিং উইংয়ের কর্মকর্তারা জানান, দুই কর্মকর্তা যা ঘটিয়েছেন সেটি অবিশ্বাস্য। মন্ত্রী তথা সরকারকে না জানিয়ে ব্যক্তিগতভাবে কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক তারা করতে পারেন না। তারা কি করে কার অনুমতি নিয়ে ব্রিফকেস ভর্তি রেকর্ডপত্র ভারতীয় কূটনীতিকের হাতে তুলে দিলেন? কি ছিল সেই ব্রিফকেসে? মন্ত্রণালয় তথা সরকার কি সেই রেকর্ডপত্র সম্পর্কে অবহিত? এটির ব্যাখ্যা কি? উক্ত দুই কর্মকর্তা এখন যে ব্যাখ্যাই দাঁড় করান না কেন এটি সুস্পষ্ট তথ্য পাচার এবং গুপ্তচরবৃত্তি। তারা জানান, কূটনীতিকদের সঙ্গে সরকারের কোনো কর্মকর্তার যেকোনো পর্যায়ের আলাচারিতার জন্য অবশ্যই উচ্চ পর্যায় থেকে অনুমোদন নিতে হয়। কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের কোনো বিষয় থাকলে বিষয়বস্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন করিয়ে নিতে হয়। এ দুই কর্মকর্তা কি সেটি করেছিলেন? ব্রিফকেসে যেসব রেকর্ডপত্র ক‚টনীতিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে সেগুলো কি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবহিত? ক‚টনীতিকের সঙ্গে ‘প্রাথমিক আলাপচারিতা’র জন্য কি আইন মন্ত্রণালয় নরেন দাস ও কাজী আরিফকে কোনো দায়িত্ব দিয়েছিলেন? এসব প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যেই। প্রতিবেদনটি প্রকাশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সরকারও তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে ড্রাফটিং উইংয়ের সচিব নরেন দাসের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে মন্ত্রণালয়। কারণ, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা)-এর দক্ষিণহস্ত বলে পরিচিত নরেন দাসের অতীত কর্মকান্ড ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এস কে সিনহা প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। ওই চিঠিতে নরেন দাসকে এস কে সিনহা তার ‘বিশেষ কর্মকর্তা’ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাটি এস কে সিনহার কাছে ‘বিশস্ত লোক’ হিসেবে নরেন বিশ্বাসের নাম দেন। কিন্তু আইনমন্ত্রী সেই অনুরোধ উপেক্ষা করেন বলে জানা গেছে। এতে এস কে সিনহা অসন্তুষ্ট হন মন্ত্রণালয়ের প্রতি। নরেন দাস হন আশাহত।

প্রতিবাদ এবং প্রতিবেদকের বক্তব্য : এদিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা’ ও ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করে প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব কাজী আরিফুজ্জামান। ব্যক্তিগতভাবে পাঠানো প্রতিবাদটিকে তিনি ‘লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ’-এর পক্ষ হতে ‘তীব্র ক্ষোভ’ ও ‘প্রতিবাদ’ জানান। তবে একজন যুগ্ম সচিব সরকারের অনুমোদন এবং সিদ্ধান্ত ছাড়া এই প্রতিবাদও পাঠানোর এখতিয়ার রাখেন না বলে জানান একই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এটিও সরকারি চাকরির ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গ’ বলে মনে করেন তারা। এ বৈঠকের বিষয়ে সরকার যদি অবহিত থাকতেন এবং প্রতিবেদনের তথ্য যদি যথার্থ না হতো তাহলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় খোদ মন্ত্রণালয়ই প্রতিবাদ জানাত। সরকার এ বৈঠকের দায় নেয়নি বলেই তাকে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিবাদ পাঠাতে হয়েছে।

কাজী আরিফুজ্জামানের পাঠানো প্রতিবাদেও রয়েছে তথ্য বিভ্রান্তি। ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি, পলিটিক্যাল-৩ লাবন্য কুমারের পাঠানো নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে শুধু নরেন দাস ও কাজী আরিফুজ্জামানের নাম উল্লেখ রয়েছে। এ দুই কর্মকর্তার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দে’র সঙ্গে নবনীতা চক্রবর্তী এ বৈঠকের ব্যবস্থা করেন। অন্য বিভাগের আর কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে নয়।

ব্যক্তিগত প্রতিবাদে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ড্রাফটিং বিভাগের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভারতীয় ক‚টনীতিকের সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলে দাবি করেন। এছাড়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের একটি আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়েও আলোচনা হয় বলে দাবি করা হয়। অথচ এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনার জন্যও সরকার তাদের মতো এ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিয়েছেন কি নাÑ প্রতিবাদে তা তিনি উল্লেখ করেননি। সর্বোপরি ক‚টনীতিকের কাছে হস্তান্তর করা ব্রিফকেসটিতে কি কি কাগজপত্র ছিল এটির কোনো ব্যাখ্যা নেই প্রতিবাদে। কি কি নথিপত্র ছিল সেই ব্রিফকেসে? অতএব, যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য ছিল না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (20)
সাইফুল ইসলাম চঞ্চল ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 1
আজ যদি এই গোপন বৈঠক পাকিস্তানের কারো সঙ্গে হতো তাহলে হেনো কোনো মিডিয়া নেই যে এইটা নিয়ে তোলপাড় না করতো, আর সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকত ৭১ টিভি।
Total Reply(1)
Md. Yeakub Ali ১৬ জানুয়ারি, ২০২০, ১১:৫২ এএম says : 4
yeas
Md Rezaul ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 0
আশ্চর্য এই বিষয়টা আর কোন পত্রিকায় আসেনি৷ আজ যদি এমন কোন বৈঠক পাকিস্তানি কারো সাথে হতো এতোক্ষনে তোলপাড় হয়ে যেত৷ হাসান মাহমুদ শাহরিয়ার কবির সহ অসংখ্য ভারতীয় উচ্ছিষ্টভোগি ঝাঁপিয়ে পড়ত৷ আল্লাহ দেশটা কে তুমি বাঁচাও
Total Reply(0)
Khokon Khan ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 0
এভাবে মাথা নিচু করে চললে ,এসব দালালরা দেশ টাও তুলে দিবে ।
Total Reply(0)
M.A. Sobur ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৫ এএম says : 0
এটা তেমন কিছুনা।যারা এই বিষয়ে তোলপাড় করছে তারা দেশের শত্রু।কেননা,স্ত্রীর বাড়ির ডকুমেন্ট স্বামীর বাড়িতে দেওয়া দোষের কিছু না।
Total Reply(0)
Cannes Cannes ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৫ এএম says : 0
আল্লাহ আপনি হেদায়েত দান করেন
Total Reply(0)
Md Mizanur Rahman ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 0
আমি বোঝি না ভারত হলো আওয়ামীলীগের মামার বাড়ি.. সেখানে কাগজপত্র পাঠালে কি হবে তাতে তাছাড়া ভাগ্নি ইশারা ছাড়া কাগজ যায় না.
Total Reply(0)
Golam Rahman ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 0
এটা আর কোন কাগজের খবর হলো না কেনো বুঝলাম না।
Total Reply(0)
Hamid Abdul ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 0
বাংলাদেশ এখন ভারতের কব্জায় তা কি আমাদের অজানা !! আর আওয়ামী সরকারের ক্ষমতায় থাকতে ভারতীয় দোসরদের দেশের প্রতিটি প্রশাসনিক কার্যক্রম তাঁদের ইশারায় চলছে !! এতে দোষের কি ??
Total Reply(0)
Riyad Ahmod Bhuiya ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৬ এএম says : 0
দেশটাকে ব্রিফকেসের ভেতর ভরে ভারতে পাঠিয়ে দিলেই তো হয়
Total Reply(0)
Sk Farid Fatik ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
বাংলাদেশ স্বাধীন আছে কিনা? বা স্বাধীন থাকবে কিনা ? যথেষ্ট গরমিল দেখা যাচ্ছে। আল্লাহ দেশ জাতি সবকিছুর রক্ষা করার মালিক একমাত্র আপনি আল্লাহ, আমিন ।
Total Reply(0)
Md Shohidul Islam ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:৪১ এএম says : 0
এই সংবাদ প্রকাশ করে ইনকিলাব তার দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ এর পরিচয় দিয়েছে।
Total Reply(0)
Md.Shahporan Shah ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:১০ এএম says : 0
এটা কোন সাধারণ বিষয় না এখানে অনেক গোপন নথিপত্র রয়েছে এখন যারা এই নথিপত্র গুলো কষ্ট করে জোগাড় করে ছিল তারা এখন গুম হবার সম্ভাবনা সবাই সাবধান থাকুন
Total Reply(0)
Amir ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১০:৪৬ এএম says : 0
ব্যক্তিগত গোপন বৈঠকের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।-------সুস্পষ্ট তথ্য পাচার এবং গুপ্তচরবৃত্তি।------''কোন জনগণের চাকর'' বা পাবলিক সার্ভেন্ট, জনগণের প্রতিনিধি তথা বিভাগীয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ব্যতীত কোন কর্মকান্ড বা বিদেশিদের সাথে আলাপ বা নীতিনির্ধারণী কোন কাজ করতে পারেন না; তদন্ত সাপেক্ষে অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে অন্যান্যদের জন্য সতর্কবার্তা দেওয়াই হবে এখন আইন মন্ত্রণালয়ের মুখ্য কাজ!
Total Reply(0)
Md Lokman ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১০:৫০ এএম says : 0
আল্লাহ আমাদের মাতৃভূমি রক্ষা করুন
Total Reply(0)
Muhammad Saidur Rahman ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ৩:১১ পিএম says : 0
সুশীল সমাজ এখন কোথায় ?
Total Reply(0)
MD.AZMAL HOSSAIN ১৪ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:৫২ পিএম says : 0
জগথসেট,মিরজাফররা বাংলাদেশের জমিনে তাদের শক্তি এখনো কমেনি????
Total Reply(0)
SABBIR ALAM ১৫ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:০৩ এএম says : 0
আশ্চর্য এই বিষয়টা আর কোন পত্রিকায় আসেনি৷ আজ যদি এমন কোন বৈঠক পাকিস্তানি কারো সাথে হতো এতোক্ষনে তোলপাড় হয়ে যেত৷ .......সহ অসংখ্য ভারতীয় উচ্ছিষ্টভোগিরা ঝাঁপিয়ে পড়ত৷ আল্লাহ দেশটা কে তুমি বাঁচাও।
Total Reply(0)
md mahmudul hasan ১৫ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:৫৭ পিএম says : 0
আমাদের আর এভাবে বসে থাকলে চলবে না।এখন কিছু একটা করতে হবে।নয়তো পাকিস্তানের মতোই ভারতের সাথে নয় মাস যুদ্ধ করতে হবে।
Total Reply(0)
MD MAHMUDUL HASAN ১৫ জানুয়ারি, ২০২০, ৮:৫৯ পিএম says : 0
আমাদের আর এভাবে বসে থাকলে চলবে না।এখন কিছু একটা করতে হবে।নয়তো পাকিস্তানের মতোই ভারতের সাথে নয় মাস যুদ্ধ করতে হবে।
Total Reply(0)
Rashedulislam shakil ১৮ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:৩০ পিএম says : 0
যে সমস্ত দালাল মিডিয়াগুলো দেশপ্রেম দেখায় তারা এখন কোথায় সে দালাল মিডিয়াগুলো কোথায় ইনকিলাব দেশ প্রেমের প্রমাণ দিয়েছে আর সরকার এখনো কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন সরকার কি বোঝাতে চাচ্ছে যে বাংলাদেশ ভারতের একটি রাজ্য সরকারের এমন আচরণে আমরা মর্মাহত আইন মন্ত্রণালয়ের কতৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন জানাই অতি তাড়াতাড়ি এই ২জনকে এবং এদের সহচর রয়েছে তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন