অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে দেশে বা বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকার। অনেকদিন সাজা খাটার পরে এটা সরকার বিশেষ বিবেচনায় করতে পারে।
আজ মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গত ৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট বারে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে দেশে বা বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলো।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সাধারণত সাজা সাসপেন্ড করা হয় অনেকদিন সাজা খাটার পরে সরকার বিশেষ বিবেচনায় এটা করে, করতে পারে। সে রকম কেস যদি তারা মেইক আউট করতে পারে, সেটা সরকারের ব্যাপার।
তিনি আরো বলেন, জেলখানায় যারা থাকেন এবং বহুদিন কারাভোগ করেন ৪০১ অনুযায়ী তাদের নানাবিধ বিবেচনায় রিমিশন দেওয়া হয় এবং অনেক সময় স্থগিতও করা হয়। কিন্তু তারা যদি প্রমাণ করতে পারেন কেস মেক আউট করতে পারেন সে ব্যাপারে সরকার দেখবে।
৯ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মামলায় সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি ২ বছর কারাগারে আটক রয়েছেন। তাই আইনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ছাড়াও তিনি একজন বয়ষ্ক অসুস্থ মহিলা, এ কারণেও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিনি জামিন প্রাপ্য।
‘কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ মামলায় তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে দেশের বিচার বিভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ক্ষুন্ন হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, পিজি হাসপাতাল হতে মেডিক্যাল বোর্ড তার স্বাস্থ্য সম্বন্ধে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে তার বর্তমান অবস্থায় অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় নাই। ক্ষমতাসীন দলের নেত্রীরা নিজেদের চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করে বিদেশে যান অথচ তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজ ব্যয়ে তার পছন্দ মতো সুচিকিৎসার জন্য সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
দলীয় নেত্রীর মুক্তির বিষয়ে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারা মোতাবেক কোনো সাজার কার্যকারিতা শর্তহীনভাবে স্থগিত করার একমাত্র ক্ষমতা সরকারের হাতে। আমরা আশা করি সরকার প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে আইনগতভাবেই চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে পারেন। এজন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা।
‘তাই আমরা সরকারের কাছে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ ৪০১(১) ধারা অনুযায়ী স্থগিত করে তার ইচ্ছামতো চিকিৎসা নিতে দেশে/বিদেশে সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন