বিদেশি সংস্থার প্রেসক্রিপশনে বিএনপি রেল চলাচল বন্ধের চক্রান্ত করেছিল বলে দাবি করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি সংসদে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ রেলের বর্তমানে ভূমির পরিমাণ ৬১ হাজার ৮২০ দশমিক ৩৫ একর। এসব ভূমির মধ্যে রেলের দখলে রয়েছে ৫৮ হাজার ৬০৬ দশমিক ৫৭ একর। অর্থাৎ প্রায় ৩ হাজার ৬১৪ একর জমি বেদখলে রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রেলপথ মন্ত্রীর পক্ষে তিনি ওই তথ্য জানান। ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সরকারি দলের সদস্য মো. মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে রেলের জমি লীজ দেয়া হলেও সেগুলো বেদখল হয়নি। ২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ খাত থেকে রেলের আয় হয়েছে ৪৫৯ কোটি ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯০ টাকা। আর বর্তমানে লীজ গ্রহীতাদের কাছে ১২৪ কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাজার ১৯৬ টাকা পাওনা রয়েছে।
বিএনপির সংরক্ষিত আসনের রুমিন ফারহানার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিদেশি দাতা সংস্থাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বিএনপি-জামায়াত (২০০১-০৬) জোট সরকার রেল বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সরকারের পটপরিবর্তনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে রেলকে রক্ষা করেছে। তবে লাভ-অলাভজনক বিবেচনায় এটি আকর্ষিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া সঠিক হবে না। তবে বিমানকে বেসরকারি খাতে লীজ দেয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত একটি বিশেষ রেল সার্ভিস দ্রæত চালু হবে। বিএনপির হারুনুর রশীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রীর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, রেলের অপতিত জমিগুলোকে খাসখতিয়ানে এনে সেখানে সরকারি প্রতিষ্ঠান করার জন্য বিশেষভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। বিএনপি এমপির এ ধরণের প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
সরকারি দলের সদস্য মো.শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে এডিপিতে রেলওয়েতে ৩৩টি বিনিয়োগ প্রকল্প ৩টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্পসহ ৩৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রেলের আওতায় ৫৫০টি মিটারগেজও ১৫০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ এবং ১০০টি মিটারগেজ ও ৪০টি ব্রডগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ক্রয় করা হবে। তিনি বলেন, যেহেতু ঢাকা-নওগাঁ এলাকায় আগে রেল লাইনটি ডাবল লাইন ছিল। বর্তমানে এটি চালু করার জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন