শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার রায় ২৩ জানুয়ারি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০২০, ১১:১৭ এএম

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে করা মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন রায় আগামী ২৩ জানুয়ারি ঘোষণা করবে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)।

সোমবার গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গত নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম দেশ গাম্বিয়া। মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালিয়েছে এমন অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়।
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ১৯৮৪ সালের আন্তর্জাতিক জেনোসাইড কনভেনশন ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে গাম্বিয়া। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি সেনা পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইনে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী।

অভিযানের নামে সেখানে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘরে আগুন, নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের হত্যা এবং নারীদের গণধর্ষন করা হয়। মিয়ানমার সেনাদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, নেদারল্যান্ডসের হেগে ওই মামলার শুনানি হয় ২০১৯ সালের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা, ধর্ষণ ও নির্যাতন চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধরা। জীবন বাঁচাতে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।

ওই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)-এ মামলা করে গাম্বিয়া। মামলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এবং রাখাইনে সংঘাত যেন আরো তীব্র না হয়, সে ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানানো হয়।
তবে গণহত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো লিডার অং সান সু চি। তার দাবি, এ ব্যাপারে মামলা পরিচালনার ক্ষমতা জাতিসংঘের আদালতের নেই। গণহত্যার অভিযোগ খারিজ করে দেওয়ার জন্য বিচারকের প্রতি তিনি আহ্বানও জানিয়েছেন। যদিও রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছেন সু চি।

অপরদিকে মিয়ানমারের গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকারের জবাবে গাম্বিয়ার এক আইনজীবী আদালতের কাছে রোহিঙ্গা হত্যা ও নিপীড়নের বেশ কিছু ছবি প্রদর্শন করেন। এগুলোকে গণহত্যার আলামত হিসেবে আদালতের সামনে উপস্থাপন করেন তিনি।

সে সময় গাম্বিয়ার এক আইনজীবী বলেন, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার অভিযোগে নিজ দেশের সৈন্যদের জবাবদিহি করার জন্য মিয়ানমারকে বিশ্বাস করা যায় না এবং সহিংসতা বন্ধের জন্য এখনই ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

এদিকে মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতির খোঁজ নিতে চূড়ান্ত সফরে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশে আসছেন জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোর্টিয়ার ইয়াংহি লি।
আজ বুধবার থেকে তিনি ৯ দিনের সফর শুরু করছেন তিনি। মিয়ানমার সরকার ইয়াংহি লিকে ঢুকতে না দেওয়ায় তিনি থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে মিয়ানমার পরিস্থিতির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন।

জানা গেছে, বরাবরের মতো কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন ও আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে তিনি মিয়ানমারের পরিস্থিতি জানবেন। এছাড়া তিনি রোহিঙ্গাদের একাংশকে স্থানান্তরের জন্য প্রস্তুত ভাসানচরও পরিদর্শন করতে পারেন। আগামী ২৩ জানুয়ারি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাঁর সফর শেষ হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Kowaj Ali khan ১৫ জানুয়ারি, ২০২০, ১১:২১ পিএম says : 0
এই খোনি বারমাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে হত্যা করা হোক। অং সাং চু কে ফাঁসি দেওয়া হোক। এ বড় শয়তান। ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন