পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ভয়াবহ তুষারপাত ও বরফগলা পানির স্রোতে গত কয়েক দিনে কমপক্ষে ১৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আর ভারতীয় কাশ্মীরে গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন সেনা রয়েছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, টানা কয়েক দিন অতিরিক্ত তুষারঝড়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত ৯৩ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। একইভাবে আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন ৩৯ জন।
এর মধ্যে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হতাহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তুষারধসে অঞ্চলটিতে নিহত হয়েছেন ৬২ জন, নিখোঁজ আছেন ১০ জন। পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশ বেলুচিস্তানে নিহত হয়েছেন ৩১ জন। গত তিন দিন ধরে চলা প্রাকৃতিক দুর্যোগে কাশ্মীরের নীলুম উপত্যকা ও বেলুচিস্তান প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্গম অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় সেখানে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। প্রদেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ৬২ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, এখনও অন্তত ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন এবং অন্তত একশ’ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সেখানে ২০ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১২ জন নারী ও সাত শিশু।
মঙ্গলবার আবহাওয়ার উন্নতি হলেও অনেক অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে সেখানে মানবিক সহায়তা পাঠানো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আফগানিস্তানেও তুষারপাত ও তুষারধসে গত দুই সপ্তাহে অন্তত ২৪ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৪০ জন। দেশটির হেলমান্দ, কান্দাহার, হেরাত এবং কাবুল প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে উদ্ধার কাজ এখনও চলছে বলে জানা গেছে।
ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ভারতের শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে আট জন মারা গেছে। মঙ্গলবারও কাশ্মীরে তুষার ধসে তিন জন ভারতীয় সেনার প্রাণহানি ঘটেছে। সূত্র : দ্য হিন্দু, এই সময়
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন