ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি নির্দেশিকা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার অভিযোগ উঠেছে। এতে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ টি এবং অন্যান্য দের জন্য ৪০ টি আসন বরাদ্ধ থাকলেও সেটিকে অমান্য করছে বিভাগের কর্তৃপক্ষ। এই বিভাগটি কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের অধীন।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ৮০টি। এতে মাদ্রাসা (দাখিল-আলিম) পাশ করা শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ টি এবং অন্যান্যদের জন্য ৪০টি আসন বরাদ্দ করে প্রশাসন। কিন্তু এই নীতিমালা উপেক্ষা করে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ থাকা ৪০টি আসনের পরিবর্তে ৪৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা জন্য ৪০ টি আসনের পরিবর্তে ৩৫টি আসনে এই বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাবে।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমদের ন্যায্য অধিকার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। দেশের সর্বচ্চো বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন কার্যক্রম আশা করা যায় না। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও ঘৃর্ণিত কাজ বলে আমি মনে করি।’
আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক আনোয়ারুল ওহাব বলেন, ‘দুইদিন যাবত তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে তিনি ফোন রিসিভ করে বলেন আমি ঢাকাতে চলে এসেছি। আমার বিভাগে কতজন মাদ্রাসা ও অন্যন্য শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অন্যন্য শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ৪০ টি আসনের জায়গায় ৪৫ জনকে ভর্তি করানোর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।’
নির্দেশনা না মানার বিষয়টি জানতে চাইলে বিভাগের সিনিয়র সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু বকর মো: জাকারিয়া মজুমদার বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ নীতি বিরোধী কাজ। আমি মনে করি আমাদের বিভাগের বিরুদ্ধে বড় ধরণের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই বিভাগে ভর্তির জন্য আরবি ভাষায় বিশেষ দক্ষতা থাকা আবশ্যক। বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়টির জানার সত্তে¡ও গত বছর প্রশাসন আমাদের উপর জোর করে ৫০ শতাংশ জেনারেল লাইনে পড়–য়া শিক্ষার্থীদেরকে চাপিয়ে দিয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা নিজেরা ভালভাবে পড়াশোনা করতে পারছে না আমরাও পাঠদান করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়ছি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন