ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় বাসা ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় স্বামীকে আটকে রেখে পোশাক কর্মী স্ত্রীকে (২৪) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় পুলিশ বাড়ির মালিক মো. কালামকে গ্রেফতার করলেও তার সহযোগীরা পালিয়ে গেছে।
বুধবার দুপুরে আশুলিয়ার পশ্চিম জামগড়া এলাকার ফকির বাড়ী থেকে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক মো. কালামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে একই বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
ফার্মেসী দোকানী মো. কালাম (৪৫) আশুলিয়ার পশ্চিম জামগড়া এলাকার ফকির বাড়ির বাসিন্দা।
ধর্ষিতা নারী সাংবাদিকদের জানিয়েছে, তিনি পশ্চিম জামগড়া এলাকায় মো. কালামের বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থেকে ডিইপিজেডের একটি পোশাক কারাখানায় কাজ করেন। রাতে পরিবহন চালক স্বামী ও তিনি নিজ কক্ষেই ছিলেন। গভীর রাতে বাড়ির মালিক কালাম ও তার পাঁচ সঙ্গী নিয়ে বকেয়া ডিসেম্বরের মাসের ২ হাজার টাকা ভাড়ার জন্য তার কক্ষে আসে।
পরে কারখানায় তাদের বেতন পরিশোধ করা হয়নি বলে বাড়ির মালিককে জানান তিনি। কিন্তু মালিক কালামের সহযোগী দুই জন তার স্বামীকে পাশের কক্ষে আটকে রাখে। পরে জোরপূর্বক তার স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নেয় তারা।
তিনি আরো বলেন, এরপর তিন জন তার হাত-পা চেপে ধরে ও বাড়ির মালিক তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাকী তিনজন পরবর্তীতে পালাক্রমে ধর্ষণ করে চলে যায়। পরে সকালে তিনি আশুলিয়া থানায় এসে অভিযোগ করেন।
এদিকে ঘটনার পরপর আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা ঘটনাস্থল গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বাড়ির মালিক মো. কালামকে গ্রেফতার করেন। তবে বাকী অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেননি তিনি।
এসআই সেলিম রেজা জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী শ্রমিকের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযুক্ত বাড়ির মালিক কালামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বর্ণের চেইন, কানের দুল নেয়ার কথা স্বীকার করলেও ধর্ষনের কথা অস্বীকার করেছে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই গামের্ন্টস কর্মীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন