রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

যতই চিৎকার করেন ধানের শীষ জিতবে না -মান্না

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:৪৯ পিএম

যতই চিৎকার করেন, যাই করেন ধানের শীষ জিততে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ৩০ তারিখের ভোট কোনো ভোট নয়। ওই ভোটে ধানের শীষ জিততে পারবেন না। ওরা জিততে দেবে না। যদি ভোট হতো তাহলে নৌকারই খবর থাকতো না। এখনো, আজ অবধি করতে দেবে না তারা। সেজন্য সমস্ত রকম বুদ্ধি-টুদ্ধি করেছে। ইভিএমকে গজব আখ্যা দিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক বলেন, ইভিএম যে একটা গজব এটা আমরা সবাই বুঝি। মানুষ যা তৈরি করে তা নিজের জন্য তৈরি করে। নির্বাচন কমিশন যেটা আমদানি করেছেন ওটা ওদের নিজেদের জন্যেই, ওরা ওটাই করবে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে যে ডাকাতি হয়েছে এটা এই সরকারের এক রকম কলংকের টিকা। আগামী কয়েক বছরে এরকম আর করতে পারবে না। এখন একই কায়দায় ভোট করার কোনো সুযোগ নেই। এজন্য তারা ভিন্নপথ নিয়েছে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে ‘নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার: বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক গোল টেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন। এতে তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ত্রুটিযুক্ত ইভিএমে ভোট কারচুপির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ২৯ ডিসেম্বরের মতো যদি ভোট করতে যেতো তাহলে পুলিশকে মেনেজ করতে হয়, বিজেপিসহ যা যা আছে তাদের সবাইকে টাকা পয়সা দিতে হয়, রাতের বেলা বিরিয়ানি খাওয়াতে হয়, পার্টি দিতে হয়- একদম লজ্জার ব্যাপার। সেজন্য একটা মেশিন বের করা হয়েছে যেটা জাদুর মেশিনই বলা যায়। এখন আপনি বলতেই পারবেন না যে- ওরা ভোট কেড়ে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আমি দুইটা-তিনটা জায়গায় দেখলাম তাদের নেতারা যারা টেলিভিশনে কথা বলেন তারা বলবেন, এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হচ্ছে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ঠিকই তো। পোস্টার যে লাগানো যাচ্ছে না-এটাও বলা যাচ্ছে না। বরং বলছে পোস্টারই নেই বিএনপির। সর্বত্র নৌকার পোস্টার। একজন (ক্ষমতাসীন) আবার বলছেন, আমি উনাদেরকে ডাকছি। পোস্টার লাগান আমি দাঁড়িয়ে পোস্টার লাগিয়ে দেবো। ও দাঁড়িয়ে থাকবে আর পেছন দিক থেকে পুলিশ ২/৩জনকে তুলে নিয়ে যায়।

মান্না বলেন, এই যে একেকজন বললেন, ভোটের দিন লড়াই করবেন। কী লড়াই করবেন কার সাথে। একটা করতে পারেন যে, মেশিনই ভেঙে ফেলতে পারেন। তা ছাড়া ভোটে জিতার কোনো সম্ভাবনা নাই। দুইটার মধ্যে একটা দেবে? ওই ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময়ে আমি এরকম কথা শুনেছিলাম অন্ততঃ ৭০/ ৮০টা দেবে। শূণ্য ফেলে দিয়েছে, ৭/৮টা তো দিয়েছে। কারণ যিনি দেশ চালান তিনি ভালো করে বুঝেন ৭০/৮০ জনও যদি পার্লামেন্টে যায়, পার্লামেন্ট কোনো সমস্যা তৈরি করবে। অর্থাৎ ঢাকা সিটিতে একজন দেবেন সেটা আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে না। এখন যদি ধরেন আপনাদের কাছে কোনো বিশেষ তথ্য থাকে তা তো আমি জানি না। তাছাড়া এটা পাবার কোনো সুযোগ নাই।

সংগঠনের সভাপতি শওকত মাহমুদ ও সদস্য সচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর আফম ইউসুফ হায়দার, প্রফেসর এবিএম বোরহানউদ্দিন, প্রফেসর এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর একেএম আমিনুল হক, সাংবাদিক এম এ আজিজ, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কাদের গনি চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। এই আলোচনায় শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন