শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ঢাকা বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে -ইশরাক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:৪৫ পিএম

সরকারের অবহেলা আর দুর্নীতির কারণে ঢাকা আজ বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে অবসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকা এখন এক নম্বরে রয়েছে। এছাড়া গত তিন দিন যাবত বায়ু দূষণের তালিকায়ও ঢাকার অবস্থান এক নম্বরে। সম্প্রতি নারী ও শিশুদের জন্য সব থেকে অনিরাপদ শহরের যে তালিকা করা হয়েছিল, সেখানেও ঢাকা এক নম্বর। এ থেকে উত্তরণের জন্য এবং ঢাকাকে বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নির্ভয়ে ধানের শীষের প্রতীকে ভোট দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। শুক্রবার যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, কদমতলী এলাকায় প্রচারণাকালে তিনি এসব কথা বলেন

অষ্টম দিনে কদমতলী থানাধীন ৬০ নং ওয়ার্ডের বর্ণমালা স্কুলের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন ইশরাক হোসেন। এখানে ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার বাবা শিখিয়েছেন, কোন মানবসন্তান অন্য মানুষের কাছে মাথা নত করবা না। আল্লাহ তাআলা বানিয়েছেন, উনাকে ভয় করবে। এছাড়া দুনিয়াতে কোনও মানুষকে ভয় করবে না। আমরা কারো জমিদারি মানবো না। আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, গত ১৩ বছর এই সরকার ক্ষমতায়। নয় বছর তাদের অধীনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করর্পোরেশন পরিচালিত হচ্ছে। অথচ ঢাকা শহরেরর কোন উন্নয়ন হয়নি। আপনারা বিএনপি সমর্থিত সকল কাউন্সিলরদের ভোট দেবেন। কারণ তারা আমাদের সাথে সংগ্রামে যুক্ত। ইনশাআল্লাহ রাজপথে দেখা হবে। আপনাদের জন্য আমি জীবন দিতেও প্রস্তুত।

এসময় অন্যদের মধ্যে বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সালাউদ্দিন আহমেদ, তৈমুর আলম খন্দকার, ড. আনম এহসানুল হক মিলন, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মহানগর বিএনপির কাজী আবুল বাশার, নবীউল্লাহ নবী, এসএম জিলানী, তানভির আহমেদ রবিন, শরিফ হোসেনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী এবং স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী গণসংযোগে অংশ নেন।

সকাল সাড়ে দশটায় বর্ণমালা স্কুলের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু হয়ে জাপানী মার্কেট, কদমতলা, মুরাদপুর, পূর্ব জুরাইন, পোস্তগোলা আলম মার্কেট রোড, শ্যামপুর রোড, শ্যামপুর বাজার, শ্যামপুর সরকারি মডেল কলেজ হয়ে শ্যামপুর লাল মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেন ধানের শীষের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ। জুম্মার নামাজ শেষে দনিয়া, আনন্দবাজার, কদমতলার সলিমুল্লাহ রোড, বরইতলা, জিয়া সরণি রোড, নামা শ্যামপুর, রায়েরবাগসহ ৫৮, ৫৯, ৬০ ও ৬১ নং ওয়ার্ডের বিাভন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন ধানের শীষের প্রার্থী।

গণসংযোগে ‘ইশরাক ভাইয়ের ভয় নাই- রাজপথ ছাড়ি নাই; উন্নয়নের মার্কা- ধানের শীষ মার্কা; ঢাকার ছেলে ইশরাক ভাই- ধানের শীষে ভোট চাই; মাগো তোমার একটি ভোটে- খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে; আসছে দেশে শুভ দিন- ধানের শীষে ভোট দিন; ইশরাক ভাই ভালো লোক- ধানের শীষে দিব ভোট’ ইত্যাদি শ্লোগানে শ্লোগানে সমগ্র এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে। এসময় রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে নারী-পুরুষসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ হাত তুলে, অনেককে উঁচু দালানের ছাদে, বারান্দায় দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে ধানের শীষের পক্ষে সমর্থন দিতে দেখা যায়। ইশরাক হোসেনও হাত নেড়ে তাদের শুভেচ্ছার জবাব দেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, সরকার সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে যে বুলি আওড়াচ্ছে বাস্তবে মানুষ তার কিছুই দেখতে পাচ্ছেনা। মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিরাজমান সমস্যাগুলো ঘুরে দেখেছি। এলাকাবাসিও জানিয়েছে তাদের সমস্যাগুলোর কথা। এ এলাকায় বিশাল একটা নর্দমা রয়েছে, যে নর্দমার মধ্যে দিয়ে ময়লা-পচা পনি বয়ে যাচ্ছে। তার পাশে ঘনবসতি, কাঁচা বাজার রয়েছে। এটাই পুরো ঢাকা শহরের চিত্র। তিনি বলেন, সরকার এমনই উন্নয়ন করছে যে, পদ্মা সেতুর একটা করে পিলার বসিয়েই বিশাল প্রচারণা চালায়। আর অন্যটি কবে বসবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হয় মাসের পর মাস। এই পদ্মা সেতু কবে শেষ হবে, কবে ব্যবহার করতে পারব সেটা আমরা কেউ জানি না। এই সেতু নির্মাণে এক টাকার জিনিস বিশ টাকায় কেনা হয়েছে। জনগণের টাকা অপচয় করা হয়েছে।

ইশরাক হোসেন বলেন, সরকারে অপশাসনে আমরা একদিকে দুঃখ দুর্দশায় জর্জরিত, অন্যদিকে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা সিংগাপুর, সুইজারল্যান্ড, ক্যানাডা, আমেরিকার ব্যাংকে পাচার করছে। জনগণের টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচিত হলে জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দিবো। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশকে আবার স্বাধীন করবো। আগামী ৩০ তারিখে আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। কোন বাধা বিপত্তি মানবেন না। বিএনপি যে আন্দলনের সুচনা করেছে সে আন্দলনের শরিক হবেন। আগামি ৩০ তারিখে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষকে জয়যুক্ত করবেন। জনগণই দেশের মালিক। জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের মালিকানা ফিরিয়ে দিবো ইনশাল্লাহ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন