বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কুষ্টিয়ার কুমড়োবড়ি এখন সারাদেশে

এস এম আলী আহসান পান্না, কুষ্টিয়া থেকে | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

শীতকালীন রসনা বিলাসের অন্যতম সুস্বাদু খাদ্য কুমড়ার বড়ি। কুষ্টিয়ার কুমড়ার বড়ি এখন শুধু গ্রাম অঞ্চলেই নয়। কুষ্টিয়ার তৈরি কুমড়ার বড়ি এখন সারাদেশে বিক্রি হচ্ছে। বড়ির চাহিদা থাকায় জেলার বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে বড়ি তৈরি হচ্ছে। প্রায় ২ যুগ ধরে এ বড়ি তৈরি করে কুষ্টিয়ার ৫ শতাধিক পরিবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে এ বড়ি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পাঠানো যাবে বলে মন্তব্য করেন বড়ি ব্যবসায়ীরা।
দেশব্যাপী কুমড়া বড়ির চাহিদা থাকায় কুষ্টিয়ায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কুমড়া ও লাউয়ের আবাদ হয়ে থাকে। এ কুমড়া ও লাউ দিয়েই তৈরি করা হয় বড়ি। সারাবছর ছাড়াও শীত মৌসুমে চাহিদা বেশি থাকায় কুমড়া বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কুষ্টিয়ার জগতি ও লাহিনীর ‘কুমড়া বড়ি পল্লীর’ সকলে। সেখানে শুরু হয়েছে শীতকালীন রসনা বিলাসের জন্য অন্যতম সুস্বাদু খাদ্য ‘কুমড়া বড়ি’ বানানোর ধুম। শীতকালীন সব ধরনের তরকারিতে বাড়তি স্বাদ আনয়নের জন্য কুমড়া বড়ির কদর এখন গ্রাম ছাড়িয়ে শহরেও সমাদৃত হয়ে সমভাবে। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষেরই নিত্যদিনের খাবারে তরকারীর অতি প্রিয় অনুষঙ্গ এ কুমড়া বড়ি।
পাকা ও পরিণত চালকুমড়া কুঁরে তার সাথে মাস কালাই কিংবা কালাই বেঁটে পাঁচফড়ং ও কালোজিরা দিয়ে বিশেষ কায়দায় তৈরি করা হয় এই কুমড়া বড়ি। কুমড়া বড়ি তৈরিতে বেশ পরিশ্রম ও ঝক্কি ঝামেলাও পোহাতে হয় বাড়ির বৌ-ঝিদের।
আবার বড়ি তৈরির পর যদি তীব্র রোদ কিংবা তাপ না থাকে তাহলে হাড়ভাঙা খাটুনি আর দীর্ঘ সময়ের পরিশ্রম সবই বৃথা যায়। কেননা বড়ি বানানোর পর যত দ্রæত তা রোদের তাপে শুকানো যায় ততই সুস্বাদু হয় এই কুমড়া বড়ি। এভাবে অতি যতেœর সাথে পল্লীর মেয়েরা কুমড়া বড়ি তৈরি করে। একজন প্রতিদিন ৩০/৪০ কেজি বড়িও তৈরি করতে পারে। বড়ি তৈরিতে ভালো পরিশ্রম কিন্তু সে তুলনায় তেমন দাম পায়না বড়ি ব্যবসায়ীরা। এ ব্যবসায় সারাবছর চললেও ৬ মাস ভালো চলে। তবে পরিশ্রমের তুলনায় তারা তেমন মূল্য পান না।
কুষ্টিয়ার তৈরি বড়ি জেলার চাহিদা পূরণ করে প্রতিদিনই বাইরে পাঠানো হচ্ছে। এখানকার তৈরি বড়ি অত্যান্ত ভালো ও সুস্বাদু হওয়ায় দিনদিন বেড়েই চলেছে কুষ্টিয়ার কুমড়া বড়ির চাহিদা।
এ ব্যবসাকে গতিশীল করতে ব্যবসায়ীদের যে ধরনের অর্থের প্রয়োজন তা না থাকায় তাদের ব্যবসা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। সুদমুক্ত ঋণ পেলে বড়ি ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
কুষ্টিয়ার তৈরি কুমড়ার বড়ি এখন গ্রামের বাড়ির আঙিনা ছেড়ে শহরে এমনকি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোর কাঁচা বাজারেও স্থান করে নিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন