বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে সোনা পাচার হচ্ছে ভারতে । বেনাপোলকেই নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে সোনা চোরাচালানিরা। যদিও বিজিবি বিভিন্ন সময়ে গোপন সংবাদের ভিওিতে এসব সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোনা সহ পাচারকারিদের আটক করলেও থামছে না চোরাচালান। ৪৯ বিজিবি সূত্র জানায়, ভারতে পাচারের সময় গত ২ বছরে বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২৫ কেজি সোনাসহ ৩৯ জন সোনা পাচারকারিকে আটক করে বিজিবি। অভিযোগ আছে, সোনা পাচারকারিরা আটক হলেও মূল মালিককে আটক করতে ব্যর্থ হয় বিজিবি, পুলিশসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
সোনা পাচারকারি চক্রটি দু’ দেশেই অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ায় মূল মালিক থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারি, দূরপাল্লার পরিবহন শ্রমিক, চেকপোস্টের বৈধ ও অবৈধ মানিচেঞ্জার ব্যবসায়ী, সিএন্ডএফ কর্মচারি ও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের মাধ্যমে সীমান্ত পথে সোনা পাচার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পাচারকারিদের কেউ কেউ আটক হলেও পর্দার আড়ালে থেকে যায় প্রকৃত চোরাকারবারিরা। গোপন সংবাদ ছাড়া কোন অবস্থাতেই সোনার চালান আটক করা সম্ভব হচেছ না বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে অভিযোগ করা হয়।
বেনাপোলের আশপাশে সীমান্তগুলো ভারতের সাথে ৭০ কিলোমিটার বিস্তৃত রয়েছে। এর মধ্যে গোগা, কায়বা, পুটখালী, দৌলতপুর, সাদিপুর, গাতিপাড়া, রঘুনাথপুর, শিকারপুর ও বেনাপোল চেকপোস্ট। গত ২ বছরে এসব সীমান্ত পথে ভারতে পাচার হওয়ার সময় ১২৫ কেজি সোনা আটক করে বিজিবি, পুলিশ ও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। সোনা চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকায় ৩৯ সোনা পাচারকারিকে আটক করা হয় হাতেনাতে। তবে যারা আটক হয় তারা সোনার প্রকৃত মালিক নয়। এরা টাকার বিনিময়ে এসব স্বর্ণ বহন করে থাকে।
ঢাকা থেকে কলকাতার দূরত্ব কম হওয়ায় সোনা চোরাকারবারিরা বেনাপোলের আশপাশের সীমান্তগুলোকে নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। সোনা পাচারকারিদের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। যে কারণে বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় বন্ধ হচ্ছে না সোনা চোরাচালান। তবে বিজিবির নতুন সিও সেলিম রেজা যোগদানের পরপরই বড় ধরনের সোনার চালান আটক হয়।
যশোরের নাভারণ সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান জানান, শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানায় গত ২ বছরে স্বর্ণ চোরাচালান সংক্রান্ত ঘটনায় ৫১ জনকে আসামি করে ৪১ টি মামলা হয়েছে। স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। ৪৯ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা জানান, গত ২ বছরে বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে পাচারের সময় ১২৫ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এ সময় আটক করা হয় ৩৯ জন চোরাকারবারিকে। বিজিবি সোনা চোরাচালান বন্ধে কাজ করে যাচেছ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন