শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

রাজনৈতিক উপায়ে লিবিয়া সঙ্কটের সমাধান চান বিশ্বনেতারা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২০, ৩:২৫ পিএম

লিবিয়ায় দুই পক্ষের গৃহযুদ্ধ বন্ধে অবৈধ হস্তক্ষেপ না করার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বনেতারা। গৃহযুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে জাতিসংঘ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার অঙ্গীকার করেছেন তারা।
রোববার জার্মানির বার্লিনে শান্তি সম্মেলনে লিবিয়ায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও চলমান সংকটের যথার্থ সমাধানের লক্ষ্যে এক টেবিলে জড়ো হন বিশ্বনেতারা। সেখানে যুদ্ধরত পক্ষগুলো নিয়ে ত্রিপোলির বিবাদমান দু’পক্ষের উপস্থিতিতে এ অঙ্গীকার করেন তারা।
বিবিসি’র তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালের পর লিবিয়া সংকট নিরসনের চেষ্টা হিসেবে এটিই ছিল প্রথম বৈঠক। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের যৌথ সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাত্রেঁদ্ধা, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান, ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
জানা গেছে, ত্রিপোলিভিত্তিক জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার জাতীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়াজ আল-সারাজ এবং বেনগাজিভিত্তিক বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতার এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করলেও প্রতিনিধিরা একে অপরের সঙ্গে দেখা করেননি।
এ বিষয়ে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল জানিয়েছেন, বিবাদমান এই দুই পক্ষ পরস্পর আলোচনায় না বসলেও উপস্থিত অন্যান্য পক্ষগুলো সম্মেলনের বিষয়ে তাদেরকে ব্রিফ করেছে এবং তাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসেছে। তিনি বলেন, কোনো সামরিক হস্তক্ষেপ নয়, রাজনৈতিক উপায়ে লিবিয়া সঙ্কটের সমাধান চান তিনি।
সম্মেলন শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, লিবিয়ার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বনেতারা ‘পুরোপুরি প্রতিশ্রæতিবদ্ধ’। ওই সময় লিবিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধের অবসানে বিদেশি হস্তক্ষেপ বন্ধের কথা জানান ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া ও তুরস্কের প্রতিনিধিরা।
এর আগে ১২ জানুয়ারি তুরস্ক ও রাশিয়ার যৌথ আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হন লিবিয়ায় যুদ্ধরত আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার ও বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী। পরে রাশিয়ায় উভয়পক্ষ স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় বসলে কোনো প্রকার চুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াই মস্কো ছাড়েন জেনারেল হাফতার।
২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পদচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে। অন্যদিকে বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়। ফ্রান্সও তাদের সমর্থন দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন