বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সীতাকুন্ডে সড়ক যেন মৃত্যুপুরী, সঙ্কেত এঁকে সতর্কতা

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

 ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ডসহ উপজেলার বিভিন্ন স্পট যেন ভয়ঙ্কর মৃত্যুপুরী। তাই সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে জেব্রা ক্রসিংয়ের সঙ্কেত এঁকে চালকদের সতর্ক করার উদ্দ্যোগ নিয়েছে ফৌজদারহাট ট্রাফিক কার্যালয়। দুর্ঘটনা প্রবণ স্থানে সাদা রংয়ের জেব্রাক্রসিং এঁকে ধীরে ধীরে যান চলাচলে নির্দেশনা দেন কার্যালয়ের পুলিশ সদস্যরা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ডের অংশে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্পটে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটছেই। গত একমাসে নিহত হয়েছেন অন্তত ২০জন। তবে বিভিন্ন স্পটে দুর্ঘটনা ঘটলেও সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনায় নিহত হচ্ছে ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কে। এ সড়কটি যেন এক ভয়ঙ্কর মৃত্যুপুরি হিসেবে পরিচিত লাভ করে চলেছে। এই স্থানে গত একমাসে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের এবং আহত হয়েছে আরো ৪ জন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম ও ঢাকা মুখী তিনটি রোডের সংযোগ থাকায় প্রচুর যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে এখানে দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে স্থানীয় মানুষদের পাশাপাশি দূরপাল্লার যাত্রীরাও ভয়ে আতঙ্কিত প্রায়। পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২৮ ডিসেম্বর উপজেলার ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কে কার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মো. সাইফুজ্জামান খান মন্টু ও তার দুই মেয়ে।
এ ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তার স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে।
এরপর দিন একই স্থানে মারা যান পথচারী আম্বিয়া খাতুনও। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ফের দুর্ঘটনা ঘটে ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কে। এই ঘটনায় নিহত হন আড়ং এর গাড়ি চালক বাবলু ফকির, ঘটনার একদিন পর ৯ জানুয়ারি কুমিরায় দুর্ঘটনায় আব্দুল্লাহ ও মেজবা উদ্দিন নামক দুইজন ও সলিমপুর ফকিরহাটে আরেকটি দুর্ঘটনায় এক বৃদ্ধ মহিলা নিহত ও তার সাথে থাকা একটি শিশু আহত হয়। ১১ জানুয়ারি আবারো দুর্ঘটনা ঘটে ফৌজদারহাটের একই স্থানে। বন্দর সংযোগ সড়কে গাড়ি চাপা পড়ে মারা যান দুই মোটরসাইকেল আরোহী। এরা হলেন পুলিশ কনস্টেবল মো. আলমগীর ও ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম এবং সর্বশেষ ফের দুর্ঘটনায় মহাসড়কের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় নিহত হন একই এলাকার তসলিম উদ্দিন নামক এক যুবকসহ গত একমাসে মহাসড়কের অন্যান্য স্পটে সর্বমোট ২০জন নিহত হন।
তবে উপজেলার অন্যান্য স্থানের তুলনায় ফৌজদারহাট-বন্দর লিংক রোডে দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। ফলে নড়ে চড়ে বসেছেন ফৌজদারহাট ট্রাফিক কার্যালয়ের সদস্যরা। এই কার্যালয়ের ইনচার্জ টি.আই রফিক আহমদ মজুমদার উদ্দ্যোগ নিয়ে এখানে বিশাল আকারের জেব্রা ক্রসিংয়ের চিহ্ন এঁকেছেন তিনি। সেখানে লেখা হয়েছে থামুন, ধীরে ধীরে চলুন। শুধু তাই নয় কার্যালয়ের সদস্যদের সঙ্কেতের মাধ্যমে ক্রসিংকালে গাড়িগুলোকে ধীরে চলতে বাধ্য করছেন ফৌজদারহাট ট্রাফিক।
এ বিষয়ে ফৌজদারহাট ট্রাফিক কার্যালয়ের ইনচার্জ রফিক আহমেদ মজুমদার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, চট্টগ্রাম সীতাকুন্ডের ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কে বারবার দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। এ কারণেই বাড়তি সচেনতার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি। দূর থেকে যেন গাড়ি চালকরা এই চিহ্ন দেখে গাড়ি সাবধানে চালান সেটাই আমাদের মুল লক্ষ।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন