রাজধানীর লালবাগ থানাধীন আজিমপুর মেটারনিটি ক্লিনিকে আনিকা বেগম (২৪) নামের এক গর্ববতি নারীকে অপারেশনের সময় ভূলবশত জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সাথে রোগীর স্বজনদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
আনিকার স্বামী রমজান আলী জনি জানান, গত রবিবার ৮ টার দিকে হাজারীবাগে বাড্ডানগর লেনস্থ ৪৯/২ নম্বর বাসা থেকে ব্যথাযুক্ত অবস্থায় আনিকাকে মেটারনিটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করতে বলেন। ভর্তি পর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তাকে সিজার করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।
পরে রাত সাড়ে ১০টায় ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তার কিছুক্ষণ পর ডাক্তার নাহিদা বেগম ও নার্স কোহিনুর আক্তার আনিকার অতিরিক্ত রক্তকরনের বিষয়টি জানান। তার জরায়ু কাটা না হলে রক্ষকরন বন্ধ হবে না বলেও জানান তারা।
এ সময় রমজান আলী জনি রোগীকে বাঁচানোর জন্য আকুতি জানান। এক পর্যায়ে রমজান আলীকে না বলে রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এ সময় চিকিৎসকদের সাথে রমজান আলী ও তার স্বজনরা কথা কাটাকাটি করেন এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রোগীকে নিয়ে ঢামেকের গাইনী বিভাগের ২১২ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ঢামেকে ২ নং ইউনিটের ডাক্তার নুর সাহিদা বেগম জানান, রোগীর অপারেশনের সময় ভূলবশত জরায়ু কেটে ফেলা হয়েছে। পরে রক্তের চাপ বন্ধ করার জন্য রোগীর তল পেটে গজ ব্যান্ডেস ভেতরে রেখে সিলাই করে দেওয়া হয়। তবে আবার রোগীর অপারেশন করতে হবে। তারপর রোগীর কন্ডিশন বুঝা যাবে।
জনি আরো জানায়, রোগীর উপর নির্ভর করে ওই ডাক্তার ও নার্সদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
অভিযোগের ব্যাপারে হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত নার্স কোহিনুর আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা বলে তিনি ইনকিলাবকে বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। অপারেশনের সময় আমি ছিলাম না।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন