নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলÑ ধর্ষক মো. তুর্য এবং যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান শ্যামল ওরফে দর্জি শ্যামল। দর্জি শ্যামল ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল ভোরে কাশীপুর খিলমার্কেট এলাকার নিজ বাসা থেকে শ্যামলকে এবং একই এলাকার অপর একটি বাসায় পালিয়ে থাকা তুর্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্ষক তুর্য কাশীপুর খিলমার্কেট এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে এবং শ্যামল একই এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে। এদিকে গতকাল দুপুরে যুবলীগ নেতা দর্জি শ্যামলকে থানা থেকে আদালতে পাঠানোর সময় ফটো সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে শ্যামলের সহযোগিরা ৩ ফটো সাংবাদিকের ওপর চড়াও হয় এবং ক্যামেরা কেড়ে নেয়।
জানা যায়, গত রোববার বিকেলে নিজ বাসা থেকে প্রতিবেশির বাসায় আরবি পড়তে যাবার সময় ওই কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় তুর্য ও তার সহযোগিরা। পরে নিজের বাসায় আটকে রেখে ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে তুর্য। খবর পেয়ে কিশোরীর পরিবার তুর্যর বাসা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে।
ওই সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবলীগ নেতা দর্জি শ্যামল বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়ার কথা বলে ধর্ষক তুর্যকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
কিশোরীর মা এ ঘটনায় মামলা করতে চাইলে শ্যামল তাদের হুমকি ধামকি দেয়। এ কারণে মামলায় ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহায়তা করা ও ভিকটিমের পরিবারকে হুমকি দেয়ার অভিযোগে শ্যামলকেও আসামি করা হয়।
ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় গত সোমবার ধর্ষক তুর্য ও তাকে সহায়তাকারী শ্যামলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, গ্রেফতার শ্যামলের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদকসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার পাশাপাশি সন্ত্রাসী ও বখাটেদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন