সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মাক্সবাদী) দুই নেতা লাঞ্ছিত হওয়ার জেরে বরিশাল বিএম কলেজে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো এবং ছাত্রলীগের একাংশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছাত্র লাঞ্ছনার ঘটনার জেরে গতকাল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে মানববন্ধনের চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের বাঁধায় ব্যর্থ হয়। পরে তারা নগরীর টাউন হলের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারে মানববন্ধন করেছে।
অপরদিকে ছাত্রলীগের একাংশও সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারে সন্ত্রাস, মাদক, ইভটিজিং ও বহিরাগতমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বিএম কলেজে পাল্টা মানববন্ধন করে। লাঞ্ছিত ছাত্রফ্রন্টের দুই নেতা হচ্ছেনÑ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহŸায়ক সুজয় শুভ ও সদস্য সচিব আলিসা মুনতাজ। তারা উভয়েই কলেজের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
বিএম কলেজের ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম আকাশ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বিএম কলেজের অন্ধকারাচ্ছন্ন সন্ধানী বøাড ডোনার ক্লাবের সামনে সুজয় শুভ ও আলিসা মুনতাজকে অপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান ছাত্রলীগকর্মী লিওন। তিনি তাদের ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যেতে বললে তারা লিওনকে মারধর করে। পরে সিনিয়ররা এসে মীমাংসার কথা বললে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহŸায়ক সুজয় শুভ জানান, সেদিন বিএম কলেজে বসে আলিসা মুনতাজের সঙ্গে সাংগঠনিক আলাপ করছিলাম। সে সময় লিওন নামের ছাত্রলীগ নেতা এসে চলে যেতে বলে। একপর্যায়ে লিওন আমাদের গালাগাল শুরু করে। এর প্রতিবাদ করলে লিওনের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন হামলা চালায়। বিষয়টি কলেজ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কলেজ প্রশাসন নেবে। ছাত্রলীগকে তো দায়িত্ব দেয়া হয়নি। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএম কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলামিন সরোয়ার বলেন, বিএম কলেজে বহিরাগত প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সেখানে রাতে বহিরাগতদের কলেজ ক্যাম্পাসে কাজটা কি জানিনা। ওইদিন ঘটনার পরপরই পুলিশকে জানানো হয়। কিন্তু তারা ঘটনাস্থলে এসেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গতকাল ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালনে ছাত্রলীগের গ্রæপটি পূর্ব অনুমতি নিলেও ছাত্রফ্রন্ট নেয়নি বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন