স্বাভাবিক জীবন যাপনের নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না ষাটোর্ধ্ব বয়সী কৃষি অধিদফতরের পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক আবদুল জব্বার। আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে তাকে।
হামলার শিকার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রহিমপুর দড়িকান্দি গ্রামের আবদুল জব্বার ন্যায়বিচার চেয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ৮জনের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার মামলা করেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই, কুমিল্লাকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
জানা যায়, ইরিক্ষেত স্কিমের ম্যানেজার হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্বপালন করে আসছেন আবদুল জব্বার। চাষাবাদের জমিতে পানি সরবরাহের একাজে কৃষকবন্ধু হিসেবে পুরস্কারও পেয়েছেন। কিন্তু ইরিক্ষেত স্কিমের ম্যানেজার পদে থাকতে হলে আবদুল জব্বারকে ওই গ্রামের হাসান, আমির হোসেন, গাফফার, আরিফ, শরিফ ও বিল্লালসহ কতিপয় যুবক দুই লাখ টাকা চাঁদা দেয়ার জন্য চাপ দেয়।
আবদুল জব্বার চাঁদা দাবির বিষয়টি হাসানের অভিভাবককে জানালে ওই যুবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরই জের ধরে গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে মুরাদনগর বাজারে কৃষক জব্বারের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। জব্বারের হাত, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে মুরাদনগর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে, আদালতে মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা কৃষক জব্বার ও তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন। জব্বারের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন জানান, আগেও তারা আমার স্বামীকে মারধর করেছে। বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে এবং তাকে অপহরণ করে দুইদিন আটকে রেখে ছেড়ে দেয়। তারা যেকোন সময় আমার স্বামীকে মেরে ফেলতে পারে। তাদের ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন