শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

আর্থিক প্রতিবেদনও শেয়ারবাজারকে ভোগাচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:১১ পিএম

আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতার অভাব শেয়ারবাজারকে ভোগাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন।

আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভের (জিআরআই) সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমি আয়োজিত ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং কর্পোরেট ইমপ্যাকট থ্র ডিসক্লোজার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ইমন বলেন, আজকে বাজার যে পরিস্থিতিতে আছে, তাতে সহায়ক শক্তিগুলো খুবই প্রয়োজন। আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতার জায়গায় ভয়াবহ সাফার (ভোগা) করছি। ভালো মানের আইপিও (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) বলে কিছু নেই। ভালো আর্থিক প্রতিবেদনই ভালো মানের আইপিও দিতে পারে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক রিপোর্টের (আর্থিক প্রতিবেদন) সঙ্গে আমাদের রিপোর্টের পার্থক্য অনেক বেশি। শ্রীলঙ্কায় দেখেছি তাদের স্ট্যান্ডার্ড অনেক আপগ্রেড (আধুনিক) এবং তাদের আইপিও প্রসেসিং স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তারা সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে এটা করতে পারে। কিন্তু আমরা সেই সক্ষমতা অর্জন করতে পারিনি।

ডিএসইর এই পরিচালক বলেন, আজকের বাজার পরিস্থিতিতে আমাদের সম্যক জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গা থেকে আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে হবে। রেশিও অ্যানালাইসিস (অনুপাত বিশ্লেষণ) এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে সবাই বুঝতে পারে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আইপিও আসার পরে এগুলো (আর্থিক প্রতিবেদনের অসঙ্গতি) নিয়ে কথা বলে আর আইপিওকে বাঁচানো যায় না। তাই আইপিও আসার আগেই সাংবাদিকদের বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন করতে হবে। তাহলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং স্টক এক্সচেঞ্জ উপকৃত হবে। সেই সঙ্গে বিনিয়োগকারীরা ওই আইপিও সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন।

ইমন বলেন, জিআরআই মান যদি অ্যাকাউন্টে (হিসাবে) কার্যকর করা যায় তাহলে অসঙ্গতি ধরা পড়বে। কোন হিসাবে কী দুর্বলতা আছে তা বোঝা যাবে। এখন কিন্তু নানানভাবে হিসাব উপস্থাপন করা হয়। কেউ কেউ রিসোর্সের মধ্যে নানা জিনিস ঢুকায়, কেউ কেউ ইনভেন্টরি ভুলভাবে উপস্থাপন করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে যখন একটি হিসাব উপস্থাপন হবে, তখন ম্যানুপুলেট করলে ধরা পড়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের সাবেক সচিব রাম বন্দোপাধ্যায়, জিআরআইয়ের পরিচালক ড. অদিতি হালদার, ডিএফএটি প্রোগ্রামের ম্যানেজার রুবিনা পাল প্রমুখ।

রাম বন্দোপাধ্যায় বলেন, কর্পোরেট রিপোর্টিংয়ে ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানির মুনাফার বিষয় যেমন তুলে ধরতে হবে, তেমনি কি কি সমস্যা আছে তাও তুলে ধরতে হবে। কর্পোরেট রিপোর্টেংয়ের ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্বচ্ছতা ও ই-গভর্নেন্স। আমরা দেখেছি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ই-গভর্নেন্সে অনেক এগিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন