শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজে’র রায়, নেটিজেনদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:১৫ পিএম

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নেদারল্যাডন্সের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রায় নিয়ে নানা বিশ্লেষণ, প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্য তুলে ধরেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।

বৃহস্পতিবার রায়ে আইসিজে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা চলবে বলেও জানিয়েছে ।মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় ঘোষণা করা অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে মিয়ানমারের প্রতি চারটি নির্দেশনা দেয় আইসিজে।

এই সিদ্ধান্তটি হল রোহিঙ্গাদের প্রতি সামরিক বাহিনীর নৃশংস আচরণের বিষয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক আদালতের রায়। যদিও এই রায় প্রয়োগে আদালতের কোনও ক্ষমতা নেই, তবে জাতিসংঘের যে কোনও সদস্য তার বিধিবিধানের ভিত্তিতে সুরক্ষা কাউন্সিলের কাছ থেকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করতে পারেন।

আইসিজে’র রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অভ জাস্টিস রোহিঙ্গা গণহত্যা শুনানীর অন্তবর্তীকালীন রায়ে মিয়ানমারকে সরাসরি গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেনি। তবে এই রায়ে আইসিজে মিয়ানমারকে অভিযুক্ত করে যে ধরণের ভাষা ব্যবহার করেছে তা প্রকারান্তরে গণহত্যাকে বোঝায়।...বাংলাদেশের জন্য হতাশার হলো, এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে যতটুকু পড়েছি, তাতে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি অন্তবর্তী এই রায়ে।’’

মুনির হোসাইন লিখেছেন, ‘‘চূড়ান্ত রায়ের আগ পর্যন্ত সেনাবাহিনীসহ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীকে গণহত্যাসহ সব ধরনের অপরাধ থেকে বিরত থাকতে হবে। সবমিলে মিয়ানমানের প্রতি ৪টি অর্ন্তবর্তীকালীন আদেশ দিয়েছে আইসিজে। নিঃসন্দেহে আপাতত এটি বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক।’’

‘‘রোহিঙ্গাদের ফেরতের তো কোনো নির্দেশনা দেওয়া হল না তাহলে লাভ কি হল? রোহিঙ্গা মারা যাবে না এই রায় পালন করে এরপর মিয়ানমার শুধু তাড়িয়ে দিবে বাংলাদেশে। আজব রায়’’ লিখেছেন মোশাররফ হোসেন।

খান রাহাত লিখেছেন, ‘‘এই রায়ের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের উচিত রোহিঙ্গাদের বার্মাতে বাধ্যতামূলক "পুশব্যাক" করা, যদি এতে করে বার্মা সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের হত্যা করে তাহলেই কেবল বার্মার উপর সারাবিশ্ব চাপ দিতে পারবে।’’

ফারহান ফাহিম লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের উচিত হবে এখন রেহিঙ্গাদের দ্রুত হস্তান্তর করা। না যেতে চাইলেও জোর করে পাঠানো উচিত।কারণ মায়ানমার আর হত্যা চালাবে না।’’

‘‘এই রায় আদৌ মায়ানমারের উপর কোন প্রকার প্রভাব বিস্তার করতে পারবে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়’’ মন্তব্য সবুর খানের।

মো. রোজ্জব আলী লিখেছেন, ‘গণহত্যা করিয়া তা ধ্বংস করিয়া ফেলছে আর বাকি রাখছে কি? অন্তত আদেশ দিতে পারতেন এখনই মিয়ানমারে সব রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নিবে এবং তাদের দেখভাল করবে তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে নিরাপদ রাখার জন্য সকল মৌলিক অধিকার দিতে হবে।মিয়ানমারকে অন্তত একটা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারত।’’

আব্দুল ফারুক প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘‘ধন্যবাদ আন্তর্জাতিক আদালতকে, ধন্যবাদ গাম্বিয়াকে, অভিনন্দন আদালতকে মায়ানমারের আবেদন খারিজ করাতে।’’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন