শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সীতাকুন্ড তিন দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০৩ এএম

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলা হচ্ছে সবজিতে সমৃদ্ধ একটি উপজেলা। প্রতি মৌসুমে সীতাকুন্ড উপজেলার বাড়বকুন্ড, মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী, ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়নসহ কৃষকরা তাদের ক্ষেতে বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করে চলছেন। কিন্তু তাদের উৎপাদিত সবজি পাইকারি মূল্যে বিক্রি উদ্দেশে হাঁট বাজারে নিয়ে আসলে সবজি পঁচে যাওয়ার ভয়ে পাইকারদের কাছে অতি কম মূল্যে দ্রুত বিক্রি করে দেন। ফলে তারা অনেক সময় সবজির ন্যায্য মূল্য পান না। তাই কৃষকরা যেন সবজির ন্যায্য মূল্য পান সে জন্য সীতাকুন্ড হিমাগার নির্মাণের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। হিমাগার নির্মাণ করা গেলে কৃষক পরিবার তাদের অতি পরিশ্রমের ফসল বাজারে বিক্রি করে অনেক লাভবান হবেন।
সীতাকুন্ড কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে ২১ থেকে শুরু হওয়া গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (কৃষি মন্ত্রণালয়) অধীনে তিন দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চল অতিরিক্ত পরিচালক আলতাফ হোসেন এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি সেক্টরকে আরো এগিয়ে নিতে নতুন প্রযুক্তি ও নতুন নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। যা বর্তমানে কৃষরাই এর সুফল ভোগ করতে শুরু করেছেন। সীতাকুন্ড ও প্রতিটি উপজেলায় ভার্মি কম্পোস্ট প্রদর্শনী কেঁচো সার ব্যবহার শুরু হয়েছে। এতে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং সবজিতে সার দিতে হয় না। জৈব কেঁচো সার ভার্মি কম্পোষ্ট সারে সব রকম সারের গুণাবলি রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আল মামুন রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক মো. লৎফর রহমান, চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা, মনিটরিং ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা আবু নঈম মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সীতাকুন্ড সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রতন কান্তি দত্ত, সহকারী কৃষি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্রনাথ প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন