বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আদালত অবমাননার রুল ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে

বুড়িগঙ্গায় দূষণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

নদীদূষণ রোধে হাইকোর্টের আদেশ অগ্রাহ্য এবং মিথ্যা তথ্য দেয়ায় ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অথরিটি (ওয়াসা)র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যে তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম। শিল্প প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। ওয়াসার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট উম্মে সালমা।
আদালত থেকে বেরিয়ে মনজিল মোরসেদ বলেন, বুড়িগঙ্গা দূষণ রোধে আদালতের রায় ও আদেশ বাস্তবায়ন না করা, অসত্য তথ্য দিয়ে আদালতের স্বাভাবিক কাজে বিঘœ ঘটানোর কারণে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি করা হয়েছে।
তিনি জানান, ২০১০ সালে বুড়িগঙ্গার পানিদূষণ বন্ধের জন্য একটি রিট পিটিশন করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে আদালত ৬ মাসের মধ্যে বুড়িগঙ্গার ভেতরে যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিসচার্জ লাইনগুলো (শিল্পবর্জ্য নিঃসরণ লাইন) আছে সেগুলো বন্ধ করে দেয়ার জন্য ওয়াসার এমডিকে নির্দেশ দেন। ২০১৪ সালে পরিবেশ অধিদফতর অভিযুক্ত কারখানাগুলোর বিদুৎ সংযোগ কেটে দেয়। তখন শিল্প মালিক সমিতি আদালতে এসে স্থগিতাদেশ নিলে আপিল বিভাগ পর্যন্ত শুনানি হয়।
২০১৬ সালে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর পরিবেশ অধিদফতরের কার্যক্রম বৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এর তিন বছরেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা আবারও আবেদন করি। কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় গত জুলাই মাসে ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। তখন আদালত তাদের এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সময় দিয়েছিলেন।
তারা প্রতিবেদন দিয়ে জানালেন, ওয়াসার কোনো লাইন বুড়িগঙ্গায় নেই। পরে বিআইডবিøউটিএ প্রতিবেদন দিয়ে জানায়, ৬৮টি লাইন রয়েছে বুড়িগঙ্গায়। এরমধ্যে ওয়াসারই আছে ৫৮টি। এরপর আদালত এক আদেশে অসত্য তথ্য দেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না মর্মে জানতে চান হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ পালনে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেন। পরে ২-৩ বার তারা প্রতিবেদন দিয়েছেন।
কিন্তু কোনো প্রতিবেদনে আদালতের নির্দেশ পালনের পদক্ষেপ তারা দেখাতে পারেননি। সিদ্ধেশ্বরী, মোহাম্মদপুর ও কলাবাগানে ওয়াসার নিয়মিত কাজের ছবি দেখিয়েছেন তারা। এসব কারণে আবেদন মঞ্জুর করে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
মনজিল মোরসেদ আরো বলেন, আমরা তার ব্যক্তিগত হাজিরা চেয়েছিলাম। তখন আদালত বলেছেন, দুই সপ্তাহ পরে যখন জবাব আসবে তখন বিবেচনা করবেন। কোর্টের কাজ কাউকে সাজা দেয়া নয়। কোর্টের আদেশ প্রতিপালন হচ্ছে কি-না সেটাই বিবেচনার বিষয়। আদালত বলেছেন, জবাব ও হলফনামা বিবেচনা করে তাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হবে কি-না সেটা তখন সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন